
মহামারি মোকাবেলা সহায়ক পণ্য ও সেবা প্রদানকারী স্টার্টআপে ভালো পরিমাণ অর্থ ঢেলেছেন বিনিয়োগকারীরা। এর ফলে গত দুই বছরে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম বেড়েছে। কিন্তু ব্রিটিশ কলাম্বিয়াভিত্তিক সফটওয়্যার কোম্পানি ক্লিওর প্রধান জ্যাক নিউটনের নজরে এসেছে ভিন্ন কিছু। স্টার্টআপগুলোতে বিনিয়োগ কমছে এবং কোভিড-১৯ মহামারির সময় শেয়ারের মূল্য যে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছিল তা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত হ্র্রাস পেয়েছে। কোাম্পানিগুলোও নিয়োগ বন্ধ করে দিয়েছে অথবা ছাঁটাইয়ের পথ বেছে নিয়েছে।
জ্যাক নিউটন বলেন, আমরা সত্যিই অতি মূল্যায়িত কর্মবাজার ও বিনিয়োগ বাজার থেকে দ্রুত এমন জায়গায় এসে পড়েছি, যা একেবারেই ভিন্ন। এটা আমাদের মধ্যে উদ্বেগের জন্ম দিচ্ছে।
কানাডিয়ান প্রযুক্তি খাতের সদস্যরা বলছেন, সুদের হার বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি ৩০ বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছানোয় খাতটির সর্বত্রই উদ্বেগ পরিলক্ষিত হচ্ছে। নেটফ্লিক্স, ক্লারনা, ক্যামেও এবং বোল্টের মতো কোম্পানিগুলো কর্মীবাহিনী ছোট করে আনছে।
পর্যবেক্ষকদের বিশ^াস, এই পরিস্থিতি বাজারকে সংশোধনের দিকে নিয়ে যাবে। যদিও কেউ কেউ আরও খারাপ কিছু এমনকি মন্দার আশঙ্কাও করছেন।
এই অবস্থায় ইনকিউবেটর ও ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্টরা চেষ্টা করছে, প্রতিশ্রুতিশীল কোনো প্রযুক্তি কোম্পানি যেনো ঝুঁকিপূর্ণ না হয়ে পড়ে। এজন্য তারা স্টার্টআপগুলোকে খরচের রাশ টেনে ধরার পাশাপাশি ক্যাশ ফ্লো শক্তিশালী করার আহ্বান জানাচ্ছে। সম্ভব হলে নিয়োগ বন্ধ রাখার মতও দিচ্ছে তারা।
অন্টারিওর ওয়াটারলুর ইনোভেশন হাব কমিউনিটেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিস আলবিনসন বলেন, সতর্কতার চাপটা বেশি তরুণ উদ্যোক্তাদের ওপর। আমরা ডাউন সাইকেলে আছি। অনেক উদ্যোক্তা এবং ভেঞ্চার বিনিয়োগকারীরা তাদের পেশাদারী জীবনে কখনই ডাউন সাইকেল দেখেননি। আমি উদ্বেগ্ন। লোকজন এটাকে গুরুত্বে সঙ্গে এবং দ্রুততার সঙ্গে নিচ্ছে।