এক বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার দুধের দাম বাড়তে পারে কানাডায়। কারণ, মূল্যস্ফীতির কারণ দেখিয়ে কানাডার দুগ্ধ খামারীরা বছরের মাঝামাঝি এসে দুধের দাম বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছে, যা একেবারেই বিরল ঘটনা।
এ শিল্পের লবি গ্রুপ এক বিবৃতিতে বলেছে, দুগ্ধ উৎপাদনের জন্য যেসব সামগ্রী বা সেবার প্রয়োজন সেগুলোর দাম এমন মাত্রায় বেড়েছে যা আগে কখনও দেখা যায়নি। এ নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে খামারিদের।
তবে ভোক্তারা আরেক দফা মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কা সামাল দিতে পারবে না বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, মূল্য বৃদ্ধির অনুরোধ অনুমোদন পেলে দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকারীদের অতিরিক্ত দাম বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে খুচরা ব্যয় অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাবে এবং দেশেল খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বাড়বে।
কানাডিয়ান ফেডারেশন অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট গ্রোসারস-এর পাবলিক পলিসি বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট গ্যারি স্যান্ডস শনিবার বলেন, দুধ ও ডিমের মতো খাদ্য সমাগ্রী কিনতে কানাডিয়ানরা ক্রয়ক্ষমতার চাপে আছে। মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব কানাডিয়ানদের ওপর কী হবে তা তা দেখার দৃষ্টি কানাডার দুগ্ধ খামারিরা হারিয়ে ফেলেছেন।
কানাডিয়ান ডেইরি কমিশন বৃহস্পতিবার এক নথিতে জানিয়েছে, বছরের মাঝামাঝি সময়ে দুধের মূল্যবৃদ্ধির অনুরোধ গত মে মাসে ডেইরি ফারমার্স অব কানাডার কাছ থেকে তারা পেয়েছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি খামার গেটে প্রতি লিটার দুধের দাম ৬ সেন্ট বা ৮ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়ানোর পর এই অনুরোধ জানিয়েছে তারা। এ মাসের শেষ দিকে কমিশন এ নিয়ে পরামর্শ করবে।
কানাডায় দুগ্ধ শিল্প ও সরবরাহ ব্যবস্থা দেখভালের দায়িত্বে থাকা ফেডারেল সংস্থাটি বলছে, দুধের দাম বাড়ানোর অনুরোধ অনুমোদন হলে তা কার্যকর করা হবে ১ সেপ্টেম্বর।
তবে ঠিক কি পরিমাণ দাম বাড়াতে চায় তা জানাতে অসস্বীকার করেছে ডেইরি ফারমার্স অব কানাডা। ডালহৌসি ইউনিভার্সিটির খাদ্য সরবরাহ ও নীতি বিষয়ের অধ্যাপক সসিলভেইন চার্লেবোয়িস বলেন, স্বচ্ছতার অভাব একটা বড় সমস্যা। তারা কেবল কানাডায় দুগ্ধ উৎপাদনের খরচ বৃদ্ধির হিসাব কষে ব্যাপক হারে মূল্য বাড়াতে চায়। হঠাৎ তাদের বাড়তি প্রয়োজন এবং পরামর্শের প্রস্তুতির জন্য অংশীজনদের কয়েক সপ্তাহ মাত্র সময় দিচ্ছে। সেটাও আবার প্রকাশ্যে আসছে না।
তবে ডেইরি ফারমার্স অব কানাডা বলেছে, কারাখানা গেটে দুধের দাম উন্মুক্ত পদ্ধতিতে সমন্বয় করা হয়েছে। আমাদের সরবরাহ ব্যবস্থা থেকে কানাডিয়ানরা যেসব উপকরা পাচ্ছে স্বচ্ছতা তার মধ্যে অন্যতম।
উল্লেখ্য, কানাডায় দুধের দাম সাধারণত বছরে একবার পর্যালোচনা করা হয়ে থাকে।