
মাঙ্কিপক্স নিয়ে কুইয়ার কমিউনিটির মধ্যে উদ্বেগ বেড়ে যাওয়ায় এ নিয়ে ভুল ধারনা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি ডেকে আনতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন এলজিবিটিদের নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা। পাবলিক হেলথ এজেন্সি অব কানাডা হেলথ কানাডা দুই ডজনের বেশি মাঙ্কিপক্স আক্রান্তকে নিয়ে তদন্ত করছে। বিরল রোগটি নজিরবিহীনভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, যা সাধারণত আফ্রিকার বাইরে ছড়াতে দেখা যায় না।
পাবলিক হেলথ এজেন্সি অব কানাডা বৃহস্পতিবার জানায়, কুইবেকে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ২৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। একজন শনাক্ত হয়েছেন অন্টারিওতে। সামনের দিনগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
কর্মকর্তারা বলছেন, প্রত্যেকেই ভাইরাসটিতে আক্রান্তের ঝুঁকিতে থাকলেও সমকামীদের মধ্যে একাধিক সংক্রমণ দেখা গেছে।
এলজিবিটিদের নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিদের মতে, এর ফলে ১৯৮০ এর দশকে এইচআইভি-এইডসের মতো এবারো সমকামী ও বাইসেক্সুয়ালরা বলির পাঠা হতে পারেন।
কানাডার ডেপুটি প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাওয়ার্ড এনজু বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সম্ভাব্য স্টিগমা ও অসাম্যের বিষয়টি তার মনে আছে। তবে ভাইরাসটির বিস্তার সুনির্দিষ্ট গ্রুপ অথবা সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশনের মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না। আক্রান্ত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসার ফলে কেউ ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হতে পারেন। তবে কেবলমাত্র যৌন কর্মকা-ের মাধ্যমে এটা ছড়ায় না। বিভিন্ন দেশে ঠিক কী কারণে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছে তা নির্ধারণে কাজ করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
প্রাথমিক ইঙ্গিত বলছে, ভাইরাসটি বর্তমানে সুনির্দিষ্ট কমিউনিটির মধ্যেই ছড়াচ্ছে। ভাইরাসটিতে সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে যারা আছেন তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্য অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে কর্তৃপক্ষগুলো।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও আক্রান্তদের সেবা দিতে স্বচ্ছতা ও সবেদনশীলতা খুব বেশি প্রয়োজন বলে জানান কুইবেকের কর্মকর্তারা। মন্ট্রিয়লের জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জেনেভিয়েভ বার্গারন বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, রোগটি নিয়ন্ত্রণের পথে সবচেয়ে বড় বাধা স্টিগমাটাইজেশন। সুতরাং আমরা এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের চেষ্টা করছি। এটা মনে রাখতে হবে যে, আমাদের শত্রু ভাইরাস, আক্রান্ত ব্যক্তিরা নন।