৫০ বছরে ৫০০ প্রজাতির প্রাণি ও পাখি পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত বা হারিয়ে গেছে বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষণার সহ লেখক ও সিমন ফ্রেজার ইউনিভার্সিটির বায়োডাইভার্সিটির অধ্যাপক আর্নে মুরস বলেন, দুর্গম স্থানে বাসকারী কিছু প্রজাতিকে খুঁজে পাওয়ার ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু বাকিদের ক্ষেত্রে সে সম্ভাবনা নেই।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, গবেষণায় আমরা দেখেছি ৫০০ প্রাণি স্থলে বসবাস করতো এবং ৫০ বছরে তাদের আর দেখা যায়নি। ১৫০০ সাল থেকে যত সংখ্যক প্রজাতিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে সংখ্যাটি তার প্রায় দ্বিগুন। এর বাইরে বিপুল সংখ্যক প্রজাতি আছে যেগুলো এখনও আমাদের চারপাশে আছে কি নেই সে ব্যাপারে আমরা জানি না।
গবেষকরা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজার্ভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) বিপন্ন প্রাণির লাল তালিকায় থাকা ৩২ হাজার ৮০২টি প্রজাতির তথ্য পর্যালোচনা করেছে। এর মধ্যে ৫৬২টি প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলে চিহ্নিত করেছেন তারা। গবেষণার ফলাফল এপ্রিলে অ্যানিমেল কনজার্ভেশন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
মুরস বলেন, তারা একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম ব্যবহার করেন, যা গ্রুপটির ডেটাবেজে ঢুকে বিলুপ্ত প্রজাতিগুলো চিহ্নিত করেছে। পাওয়া যাচ্ছে না বা শেষবারের মতো দেখা যাওয়া তারিখ অথবা প্রথমবারের মতো প্রাণিটির দেখা পাওয়া ও নাম সংক্রান্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিলুপ্ত প্রজাতির তালিকাটি করা হয়েছে। এ ধরনের আরও অনেক ইঙ্গিত আছে যা দিয়ে বোঝা যায় যে প্রজাতিগুলো বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
কানাডা থেকে বিলুপ্ত হওয়া এমন একটি প্রজাতি হলো এস্কিমো কার্লিউ নামে স্থলের পাখি, যারা তুন্দ্রার সর্বোত্তরে বাসা বাঁধতো এবং আর্জেন্টিনায় পাড়ি দিতো। ১৯৬২ সালে টেক্সাসে কয়েকটি এস্কিমো কার্লিইকে দেখা গিয়েছিল এবং ১৯৬৩ সালে বারবাডোজে একটিকে গুলি করে মারা হয়। সেটাই ছিল শেষবারের মতো পাখিটির দেখা পাওয়া।
কানাডিয়ান পাখির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মুর বলেন, এটাই আমাদের সবচেয়ে বিখ্যাত ও সর্বশেষ বিলুপ্ত প্রজাতি বলে আমার বিশ^াস। সম্ভবত প্রজাতিটি বিলুপ্ত হয়েছে।