অনলাইনে অভিবাসীদের নিয়ে বর্ণবাদী বা পক্ষপাতদুষ্ট কন্টেন্ট দেখতে পান ৩৫ বছরের কম বয়সী অর্ধেক কানাডিয়ান। লেজার ও অ্যাসোসিয়েশন ফর কানাডিয়ান স্টাডিজের নতুন এক সমীক্ষায় এমনটাই জানা গেছে।
সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৪২ শতাংশ কানাডিয়ান সাইবার স্পেসে অভিবাসীদের নিয়ে বর্ণবাদী কন্টেন্ট দেখে থাকেন বা শোনেন বলে জানিয়েছেন। কৃষ্ণাঙ্গদের নিয়ে অনলাইনে বর্ণবাদী মন্তব্য প্রত্যক্ষ করেন ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সী প্রায় অর্ধেক কানাডিয়ান। আদিবাসীদের নিয়ে এ ধরনের মন্তব্য চোখে পড়ে এই বয়স শ্রেণির অর্ধেক কানাডিয়ানের চোখে। এই বয়স শ্রেণির প্রতি পাঁচজনের মধ্যে দুইজন বলেছেন, এশিয়ান কানাডিয়ানদের সম্পর্কে তারা এ ধরনের কন্টেন্ট দেখে থাকেন।
নিউ ইয়র্কের বাফেলো সুপারমার্কেটে ১০ কৃষ্ণাঙ্গকে উদ্দেশ্য করে এক শে^তাঙ্গ বন্দুকধারীর হামলা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কীভাবে ঘৃণা ছাড়াতে ভূমিকা রাখছে সেটি সামনে এনেছে।
২৫ এপ্রিল সমাপ্ত সপ্তাহে ১ হাজার ৬৯৭ জন কানাডিয়ানের ওপর অনলাইনে সমীক্ষাটি চালানো হয়। অ্যাসোসিয়েশন ফর কানাডিয়ান স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট জ্যাক জেডওয়াব বলেন, অপেক্ষাকৃত তরুণদের মধ্যে এ ধরনের কন্টেন্ট দেখাটাই বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। বিপুল সংখ্যক তরুণের সামনে এ ধরনের কন্টেন্ট পড়ার কারণ হচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের অতি মাত্রায় সক্রিয় থাকা।
বিভিন্ন বর্ণের মানুষ নিয়ে বর্ণবাদী কন্টেন্ট চোখে পড়ার কথা জানিয়েছেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ১০ শতাংশ কানাডিয়ান। জেডওয়াব বলেন, প্রতি দশজনের মধ্যে একজন উচ্চ হার নয় বলে আপনারা যুক্তি দেখাবেন বলে আমি মনে করি না। কারণ, নিত্যদিন যারা এ ধরনের কন্টেন্ট দেখছেন তাদের সংখ্যাটা কম নয়।
শে^তাঙ্গদের তুলনায় অশে^তাঙ্গরা বর্ণবাদী কন্টেন্ট বেশি দেখেন বলে জানিয়েছেন। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রতি পাঁচজনের মধ্যে তিনজন অশে^তাঙ্গ অভিবাসীদের সম্পর্কে বর্ণবাদী কন্টেন্ট দেখেন বলে জানিয়েছেন। শে^তাঙ্গদের মধ্যে এ হার প্রতি পাঁচজনে দুইজন। জেডওয়াব বলেন, বাফেলো গুলিবর্ষণের কারণে এ ধরনের কন্টেন্ট বেশি চোখে পড়ছে।
হেইট ক্রাইম ও বর্ণবাদ থেকে সৃষ্ট সহিংস চরমপন্থা হিসেবে এ ঘটনার তদন্ত করছে মার্কিন বিচার বিভাগ। জেডওয়াব বলেন, এ ধরনের চোখে পড়লে তার কী করেন? এই প্রশ্ন রাখা হয়েছিল তরুণদের কাছে। জবাবে তারা বলেন, কিছুই না। কারণ, এগুলো ব্যাপক এবং এর মোকাবেলা কোথা থেকে শুরু করতে হবে তা তাদের জানা নেই।
সুনির্দিষ্ট কিছু ওয়েবসাইট বন্ধ ও প্ল্যাটফরম থেকে দ্রুত সরিয়ে ফেলতে বাধ্য করার মাধ্যমে হেইট স্পিচ ও অনলাইন নিপীড়ন বন্ধের জন্য একটি আইন প্রস্তাব করেছে ফেডারেল সরকার। তবে প্রান্তিক লোকজনের কন্টেন্ট ক্ষতিকর ধরে নিয়ে এর মাধ্যমে তাদের অধিকার খর্ব করা হতে পারে আশঙ্কা করেছেন সমালোচকরা।