
মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগীদের সেবাদানকারী স্বাস্থ্যকর্মীদের কোভিড-১৯ এর মতোই সঠিক এন৯৫ মাস্ক ও আই প্রোটেকশন পরতে হবে। সেই সঙ্গে আইসোলেশন প্রটোকলও মানতে হবে।
মে মাসে প্রকাশ করা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত এক নথিতে অন্টারিওর জনস্বাস্থ্য বিভাগ বলেছে, মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ যদিও দীর্ঘ সময় ধরে সরাসরি সংস্পর্শে এলে অথবা ত্বকের সঙ্গে ত্বকের স্পর্শের ফলে হয়, তারপরও বাতাসের মাধ্যমে ছাড়ানোর সম্ভাবনাও থাকছে। এ কারণে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগীদের এয়ারবোর্ন আইসোলেশন রুমে রাখতে হবে, যেখানে নেগেটিভ প্রেসার ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা রয়েছে। এটা করতে হবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাদের চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে। এটা যদি সম্ভব না হয় তাহলে রোগীদের আলাদা কক্ষে দরজা বন্ধ করে রাখতে হবে। এর কোনোটির ব্যবস্থাই না থাকলে আশপাশের মানুষের মধ্যে যাতে না ছড়ায় সে ব্যাপারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া স্বাস্থ্য কর্মীদের অবশ্যই এন৯৫ রেসপিরেটর, গ্লাভস, গাউন ও আই প্রোটেকশন পরতে হবে। নতুন ত্বক না হওয়া পর্যন্ত সতর্কতামূলক এসব পদক্ষেপ চালিয়ে যেতে হবে।
এটা কোভিড-১৯ শুরুর দিককার একেবারে বিপরীত পদক্ষেপ। হাসপাতাল ও লং-টার্ম কেয়ার হোমে ব্যাপক সংক্রমণের মধ্যে কাজ করলেও সে সময় স্বাস্থ্যকর্মীদের পর্যাপ্ত সংখ্যক পিপিই সরবরাহ করা হয়নি। কর্মীদের এন৯৫ এর মতো আইটেম সরবরাহে লং-টার্ম কেয়ার হোমগুলোকে বাধ্য করার আবেদনে ২০২০ সালের এপ্রিলে আদালতের দ্বারস্থ হতেও দেখা যায় অন্টারিও নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনকে। অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে সে সময় বলা হয়, হোমগুলো মাস্ক তালাবদ্ধ করে রেখে কর্মীদের পিপিই পরতে নিরুৎসাহিত করতে।
তবে মাঙ্কিপক্স নিয়ন্ত্রণে অন্টারিওর স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছেন। মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের কোনো ঘটনা জানামাত্র তা স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জানাতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের শুক্রবার নির্দেশনা দিয়েছেন অন্টারিও জনস্বাস্থ্য বিভাগের চিফ মেডিকেল অফিসার। অন্টারিওতে এখন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত সন্দেহজনক একজর রোগী পাওয়া গেছে। টরন্টোর ওই ব্যক্তি সম্প্রতি মন্ট্রিয়ল থেকে ফেরা এক ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন।