
বিপুল ভোটে দ্বিতীয়বারের মতো ওন্টারিও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে স্কারবোরো সাউথওয়েস্ট থেকে ডলি বেগম এমপিপি নির্বাচিত হলেন। গত ২ জুন এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এবারের নির্বাচনে ডলি বেগম তাঁর নিকটতম প্রার্থীর চেয়ে প্রায় দ্বিগুন ভোটের ব্যবধানে এমপিপি নির্বাচিত হলেন ।
ওন্টারিওর বাঙালি, সাউথ এশিয়ান ও অন্যান্য ইমিগ্র্যান্ট অধ্যুষিত স্কারবোরো সাউথওয়েস্ট রাইডিংয়ে ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এনডিপি)-র প্রার্থী ডলি বেগম পেয়েছেন ৪৭.১ % ভোট (১৫, ৯৫৪ ), তাঁর নিকটতম প্রার্থী ওন্টারি প্রদেশের ক্ষমতাসীন দল প্রগ্রেসিভ কনজারভেটিভ (পিসি) পার্টির প্রার্থী ব্রেট স্নাইডার পেয়েছেন ২৭.৯ % (৯,৪৩৬) এবং প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো-র লিবারেল পার্টির প্রার্থী লিসা পাটেল পেয়েছেন ১৮.৮ % (৬,৩৫৬ ) ভোট।
কানাডার তিন স্তর বিশিষ্ট সরকার ব্যবস্থা বিদ্যমান। সিটি কাউন্সিল, প্রাদেশিক পরিষদ ও ফেডারেল। এই তিন স্তরের সরকার ব্যবস্থায় নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসাবে ডলি বেগমই প্রথম ও একমাত্র বাংলাদেশী – কানাডিয়ান। স্বভাবতই তাঁর এই বিজয়ে প্রবাসী বাংলাদেশীরা আনন্দিত। সকলেই তাঁর জন্য গর্ব অনুভব করে। সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাঁর জয়ের জন্য কাজ করেছেন। এই বিজয়ে তারা আনন্দে ভাসছে।
বিশেষকরে তরুণ প্রজন্ম তার দ্বারা দারুণভাবে অনুপ্রাণিত । এই অনুপ্রেরণা তাদের অনেককেই ভবিষ্যতে ডলি বেগমের পথ অনুসরণ করে কানাডার মূল রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণে উৎসাহিত করবে।
২০১৮ সালে প্রথমবার নির্বাচিত হবার পর থেকে ওন্টারিওর প্রাদেশিক পরিষদের সংসদ কুইন্সপার্কে এনডিপির এমপিপি হিসাবে ডলি বেগম জোরালো ও বলিষ্ঠ বক্তব্যের মাধ্যমে নিজেকে একজন দক্ষ পার্লামেন্টারিয়ান হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। স্কারবোরো সাউথওয়েস্ট ও ওন্টারিও প্রদেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থে তার উত্থাপিত বিল ও তার সমর্থিত অন্যান্য বিল সমুহ সরকার কর্তৃক গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হয়। ডলি বেগম পার্লামেন্টে সিটিজেনশিপ, ফরেন ক্রেডেনশিয়াল এবং ইমিগ্রেশন সার্ভিসের ক্রিটিক হিসাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন এবং নিষ্ঠার সাথে সেসব দায়িত্ব পালন করেছেন।
ইন্টারন্যাশনালী ট্রেইন্ড প্রফেশনালদের নিজ পেশায় যোগদানে বিভিন্ন বাঁধা দূর করার জন্য ডলি বেগমের দাবী বিল আকারে গৃহীত হয়েছে। প্রবাসী ফিলিপিনিদের দীর্ঘদিনের দাবী “ফিলিপিনি হেরিটেজ মান্থ” ঘোষণা ডলি বেগম কর্তৃক উত্থাপিত ও গৃহীত হয়েছে। তাছাড়া কোভিড মহামারীর সময় ভেক্সিন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে স্কারবোরোর কর্মজীবী এবং নিম্ন আয়ের মানুষরা অবহেলিত ছিলো । ডলি’র জোরালো দাবীর মাধ্যমে অনেকগুলো ভেক্সিন পপআপ ক্লিনিক স্থাপন করা হয়। এই সময়ে তিনি মানুষের সুরক্ষার পক্ষে কাজ করে সকলের মন জয় করেন।
স্কারবোরোর অবহেলিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, সিনিয়রস লংটার্ম কেয়ার, চাইল্ড কেয়ার, কমিউনিটি হাউজিং, সামগ্রিক আবাসন ব্যবস্থা, ট্রানজিট সিস্টেম, ট্রাফিক দুর্ঘটনা, কার ইন্সুরেন্স, গ্রীন স্কারবোরো প্রতিষ্ঠাসহ ইত্যাদি অতিপ্রয়োজনীয় নাগরিক বিষয়ে তার শক্ত অবস্থান, বক্তব্য ও পদক্ষেপ সমূহ মানুষকে তাঁর দিকে আকর্ষণ করে।