স্কুল ও অন্য পাবলিক স্থানে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানের বিধান ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় তিন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। অন্টারিও স্বাস্থ্য বিভাগের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. কিয়েরান মুরের কাছে লেখা যৌথ চিঠিতে এই দাবি জানিয়েছেন তারা।
নায়াগ্রা রিজিয়নের মেডিকেল অফিসার ডা. মুস্তাফা হিরজি, উইন্ডসর-এসেক্স কাউন্টির মেডিকেল অফিসার ডা. শঙ্কর নেসাথুরাই এবং পিটারবোরোর মেডিকেল অফিসার ডা. থমাস পিগোট তাদের লেখা চিঠিটি বুধবার ডা. কিয়েরান মুরের কাছে পাঠান। অন্তত জুন পর্যন্ত হাসপাতাল, লং-টার্ম কেয়ার হোম, ট্রানজিট ও ঝুঁকিপূর্ণ অন্যান্য স্থাপনায় বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানের বিধান সম্প্রসারণ করায় ডা. কিয়েরান মুরের প্রশংসা করেন তারা। একইসঙ্গে কর্মক্ষেত্র, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং ফার্মেসি ও গ্রোসারির মতো অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় সেবা প্রাপ্তির স্থানেও তা সম্প্রসারণের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
চিঠিতে তারা বলেছেন, অন্টারিওবাসীর যোগাযোগ পুরোপুরি কার্যকর করতে স্থানীয় পর্যায়ে নয়, প্রাদেশিক পর্যায়ে এটা প্রয়োজন বলে আমরা বিশ^াস করি। আপনার মতো আমাদেরও আশা ছিল মাস্ক পরিধান ও অন্যান্য সুরক্ষা শিথিল করে দীর্ঘমেয়াদে বড় কোনো দুর্ভোগ ছাড়াই মহামারির এই ঢেউ থেকে আমরা বেরিয়ে আসবো। দুর্ভাগ্যবশত আমাদের সেই আশা ফলবে বলে মনে হচ্ছে না।
মার্চে ফোর্ড সরকার অধিকাংশ স্থান থেকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানের বিধান প্রত্যাহার করে। পাবলিক হেলথ অন্টারিওর (পিএইচও) বিবৃতি অনুযায়ী, সিদ্ধান্ত্িট প্রদেশে সংক্রমণের ষষ্ঠ ঢেউ ডেকে আনে। এই ঢেউয়ের সময় এপ্রিলের কোনো দৈনিক ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছিল। সংক্রমণের এই উল্লম্ফনের ফলে বাধ্যতামূলক বিশেষ করে স্কুলে মাস্ক পরিধান বিধান ফিরিয়ে একাধিক দাবি উঠতে থাকে। কিন্তু এর কোনো প্রয়োজন নেই বারবারই দাবি করে আসছে প্রদেশ।
তিন চিকিৎসক তাদের চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, তাদের অঞ্চলে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত কোভিড রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির হার আগের ঢেউগুলোকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এর ফলে নায়াগ্রার প্রধান হাসপাতালে অস্ত্রোপচার ৭০ শতাংশে নেমে এসেছে। সপ্তাহের গোড়ার দিকে কোনো শয্যা ছাড়াই ১০০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ হ্রাসে মাস্কের গুরুত্বের বিষয়টিও তাদের চিঠিতে তুলে ধরেছেন ওই তিন চিকিৎসক। একইসঙ্গে বিষয়টি বিবেচনার জন্য ডা. মুরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, মাস্ক ফিরিয়ে আনলে ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিরা নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে সমর্থ হবেন। এতে করে হাসপাতালের ওপর চাপ কমবে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটা তা হলো আমরা মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে পারবো।
বৃহস্পতিবার অন্টারিওতে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ৩২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তির হারও হ্রাস পেয়েছে।