রাশিয়ার আগ্রাসনে পলায়নরত ইউক্রেনীয় নাগরিকদের সহায়তায় পোল্যান্ডে গেছে ১০০ জনের মতো কানাডিয়ান সৈন্য। এর মধ্যে ৮০ জন সৈন্য গেছেন এডমন্টন থেকে এবং অবশিষ্ট ২০ জন অন্টারিওর ট্রেন্টন থেকে। পোল্যান্ডের বিভিন্ন অভ্যর্থনা কেন্দ্রে আগতদের তারা মানবিক সহায়তা দেবেন বলে জানিয়েছেন থার্ড ব্যাটালিয়ন প্রিন্সেস প্যাট্রিসিয়ার কানাডিয়ান লাইট ইনফ্যান্ট্রির কোম্পানি কমান্ডার মেজর রায়ান প্রিডমোর।
দুই মাসের মিশনে তারা পোলিশ টেরিটোরিয়াল ডিফেন্স ফোর্সকে সহায়তা দেবে। একটি কানাডিয়ান মেডিকেল ইউনিটও থাকবে।
মেজর রায়ান প্রিডমোর বলেন, এই মোতায়েনে আমাদের সৈন্যরা অত্যন্ত খুশি। এজন্যই আমরা তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এ কারণেই আমরা কাজটি করছি। আমাদের সৈন্যরা সেখানে যাওয়ার জন্য তৈরি এবং পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আনা শুরু করতে চান তারা। সেখানকার মাটিতে পা রাখামাত্র সৈন্যরা কাজ শুরু করে দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন প্রিডমোর।
তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে চ্যাপলেইনরা রয়েছেন যারা আত্মিক নির্দেশনা দেবেন। অভ্যর্থনাকেন্দ্রে শরনার্থীরা এলে তাদের সহায়তার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন।
এর আগে আফগানিস্তান ও কুয়েতে দায়িত্ব পালন করেন প্রিডমোর। তিনি বলেন, কিছু সৈনিকের ভাষাতত্ত্বে পারদর্শীতা রয়েছে। পোল্যান্ডে ইউক্রেনীয় শরনার্থীদের সেবা, সমন্বয় ও পুনর্বাসনে সহায়তার জন্য কানাডা আরও ৫০ জনের মতো সৈন্য পাঠাতে প্রস্তুত।
উপপ্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড বৃহস্পতিবার ক্যালগেরিতে বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার জবরদখলকে গণহত্যা ঘোষণা করাই হবে যুক্তিযুক্ত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও তাই বলছেন। কারণ, আক্রমণের পর থেকে হাজারও ইউক্রেনীয় খুন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন।
দিন দশেক আগে রাশিয়ান ওয়েবসাইটে পাওয়া নথিপত্রের ইঙ্গিত করেন ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। ওই নথিতে ইউক্রেনে গণহত্যার পরিকল্পনার নীলনকশা করা হয়েছে।
ডিপার্টমেন্ট অব ন্যঅশনাল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সৈন্যরা ইমিগ্রেশন, রিফিউজি ও সিটিজেনশীপ কানাডার সঙ্গে কাজ করবেন। কানাডায় কাজ করতে ও শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী ইউক্রেনীয়দের সাময়িক বসবাসে সহায়তা করবেন তারা। খবর: দ্য কানাডিয়ান প্রেস।