
মন্ত্রীদের পরামর্শদানকারী একটি প্যানেল ইন্টারনেটে শিশুদের যৌন হয়রানি বন্ধের একটা উপায় উদ্ভাবন করতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদী অনলাইনে শিশু সুরক্ষা বিষয়ক কানাডার নেতৃস্থানীয় বিশেষজ্ঞ লিয়ানা ম্যাকডোনাল্ড। নতুন একটি অনলাইন সেফটি বিল প্রণয়নের জন্য গত সপ্তাহে যে ডজনখানেক বিশেষজ্ঞকে নিয়োগ দেওয়া হয় কানাডিয়ান সেন্টার ফর চাইল্ড প্রটেকশনের নির্বাহী পরিচালক লিয়ানা ম্যাকডোনাল্ড তাদের অন্যতম।
বর্ণবাদ ও ইহুদি বিদ্বেষসহ অনলাইনে হয়রানি বন্ধে একটি বিল উত্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন হেরিটেজ বিষয়ক মন্ত্রী পাবলো রদরিগেজ ও বিচার মন্ত্রী ডেভিড ল্যামেট্টি। গত বছর সংসদের শেষ দিকে বিলের প্রথম সংস্করণটি হাউজ অব কমন্সে উত্থাপন করা হয়েছিল। অনলাইনে শিশু নির্যাতন বন্ধ যে আসন্ন বিলের প্রধান উপাদান হতে যাচ্ছে উপদেষ্টা কমিটিতে ম্যাকডোনাল্ডের অন্তর্ভুক্তি সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
তিনি বলেন, অনলাইনে নিপীড়নের ঘটনা বাড়তে থাকায় ইন্টারনেট থেকে শিশুদের অশোভন ছবিগুলো দ্রুত সরিয়ে নিতে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে বাধ্য করা জরুরি।
সাইবারটিডটসিএর তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে অনলাইনে শিশু নির্যাতন ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। এসব শিশুর গড় বয়স ১৪ বছর। ভুক্তভোগী অনেক শিশুর বয়স ১২ বছরও। ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের ঘটনা বেড়েছে ৭৯ শতাংশ।
যুক্তরাজ্যের নতুন অনলাইন হার্ম বিল প্রণয়নকারী ব্রিটিশ কর্মকর্তাদেরও পরামর্শ দিচ্ছেন ম্যাকডোনাল্ড। এই বিলকে তিনি গেম চেঞ্জার বলে মনে করছেন। কানাডিয়ান কর্মকর্তারাও যুক্তরাজ্যের বিলটি খতিয়ে দেখছেন। বিলে ক্ষতিকর ছুবি প্ল্যাটফরম থেকে দ্রুত সরিয়ে নিতে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে বাধ্য করার কথা বলা হয়েছে। তা না হলে তাদের বড় অংকের জরিমানা গুনতে হবে।
ম্যাকডোনাল্ড বলেন, প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর প্রতি অশোভন ছবি স্বেচ্ছায় সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধের যে পদ্ধতি তা কাজে আসছে না। এ কারণেই লাখ লাখ এ ধরনের ছবি অনলাইনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে এটা চলতে দেওয়া হয়েছে।
শিশুদের সুরক্ষায় প্রটেক্ট আরকনিড নামে কানাডিয়ান সেন্টার ফর চাইল্ড প্রটেকশনের নিজস্ব কর্মসূচি রয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় তারা ইন্টারনেটে শিশুদের অশোভন ছবি খুজে বের করছে। এ ধরনের লাখ লাখ ছবি সংগ্রহ করে তা সরিয়ে নিতে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে তারা নোটিশ দিচ্ছে। ২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৬০ লাখ ছবি ও ভিডিও এভাবে ইন্টারনেট থেকে সরানো হয়েছে।