কানাডিয়ানদের মধ্যে বিভক্তি বাড়ছে বলে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে। কিছু বিষয় তাদেরকে বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ কমিয়ে দিয়েছে।
ইউনিভার্সিটি অব সাস্কেুচয়ানের কানাডিয়ান হাব ফর অ্যাপ্লায়েড অ্যান্ড সোশ্যাল রিসার্চ ৭ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত ১ হাজার ১১ জনের ওপর সমীক্ষাটি চালায়। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রতি চারজনের মধ্যে তিনজনই মনে করেন সমাজে মেরুকরণ ঘটেছে। ৭২ শতাংশই কোভিড-১৯ মহামারিকে এর প্রধান কারণ বলে মনে করেন। ২০২১ সালের নির্বাচনকে এই বিভক্তির প্রধান কারণ বলে বিশ^াস সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৭৩ শতাংশ কানাডিয়ানের।
সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৪০ শতাংশ বলেছেন, মহামারি ও রাজনৈতিক কারণে বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ তারা কমিয়ে এনেছেন।
গবেষণা পরিচালক জেসন ডিসানো এক সাক্ষাৎকারে দ্য কানাডিয়ান প্রেসকে বলেন, মহামারি শুরু হওয়ার পর গত দুই বছরে এতো বেশি রেটোরিক তৈরি হয়েছে যেগুলো জনগণকে বিভক্ত করার জন্য যথেষ্ট। তবে এই বিভক্তি বাস্তবিকই নাকি কেবলই ধারণা সেটা নিশ্চিত নয়। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা যেভাবে উত্তর দিয়েছেন তাতে করে তাদের দলের প্রতি আনুগত্য সামনে চলে এসেছে। যেমন প্রেইরি প্রদেশগুলোতে অংশগ্রহণকারীরা এমন ভঙ্গিতে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন, যা কনজার্ভেটিভ নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
সমাজে তুলনামূলক কম মেরুকরণ হয়েছে বলে বিশ^াস করেন কুইবেকের বাসিন্দারা। ডিসানো এর কৃতিত্ব দিয়েছেন উদার দৃষ্টিভঙ্গিকে। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া কুইবেকের বাসিন্দারা পশ্চিম কানাডা বিশেষ করে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার বাসিন্দাদের তুলনায় বন্ধু ও পরিজনদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ কম মাত্রায় কমিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
কানাডিয়ানদের ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালনকারীর প্রসঙ্গটি এলে ৫৫ শতাংশ এজন্য আন্তর্জাতিক সহায়তাকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। নৃতাত্ত্বিক বৈচিত্রকে এর কারণ হিসেবে মনে করেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৫৩ শতাংশ কানাডিয়ান।