
বিনামূল্যে দেওয়া ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) কেউ বিক্রি করলে তাকে কঠোর জরিমানার আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছে অন্টারিও সরকার। দীর্ঘ মেয়াদে ও নিরাপদে কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে প্রণীত একগুচ্ছ আইনের অংশ হিসেবে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
হালনাগাদ বিধিবিধানে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট, মাস্ক, গ্লাভস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ সরকার প্রদত্ত যেকোনো পিপিই বিক্রি করা বা বিক্রির প্রস্তাব দেওয়াকে অবৈধ বলে বিবেচনা করা হবে। ব্যক্তিগতভাবে কেউ এ ধরনের অপরাধ করলে তাকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার ডলার এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কেউ একই অপরাধ করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানার মুখে পড়তে হবে।
অর্থনৈতিক কর্মকান্ড উন্মুক্ত রাখতে বৃহৎ পরিসরে আইনের যে প্যাকেজ তার অংশ হিসেবেই এসব বিধিবিধান। এর মধ্যে আগামী দুই বছরে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের বিনিয়োগ কর্মসূচিও রয়েছে। এছাড়া পার্সোনাল কেয়ার ওয়ার্কারদের বেতন বৃদ্ধি এবং বিদেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্সদের কানাডায় কাজ করতে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সেগুলো দূর করাও এর অন্তর্ভুক্ত। পাশাপাশি প্রদেশের জন্য প্রতি পাঁচ বছর অন্তর জনগণের মাধ্যমে পর্যালোচনাকৃত ও সংশোধিত প্রাদেশিক জরুরি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা গ্রহণ করাও বাধ্যতামূলক।
ট্রেজারি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট প্রামবিত সিং সরকারিয়া মঙ্গলবার পরিকল্পনা প্রকাশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অন্টারিওর স্বাস্থ্যসেবা ও মহামারি প্রস্তুতির মধ্যে লক্ষ্যণীয় ও দীর্ঘদিনের একটা ঘাটতি ছিল। যার ফলে এতো বিপুল সংখ্যক মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা দেওয়া উচিত হয়নি। দীর্ঘদিনের এসব ঘাটতি কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে আমাদের সরকার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং এ নিয়ে আমি গর্বিত।
ওমিক্রনের কারণে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ঊর্ধ্বমুখি চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ডিসেম্বরে অবৈধ পিপিই বিক্রেদের বিরুদ্ধে চড়াও হয় সরকার। পরীক্ষা জোরদারের অংশ হিসেবে ছুটির মৌসুমে এলসিবিও স্টোর ও মলগুলোতে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট বিতরণও করা হয়। পরের দিন আসার আগেই অধিকাংশ স্থানে টেস্ট কিট ফুরিয়েও যেতো। অত্যধিক বেশি দামে অনলাইনে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট বিক্রি হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর গভর্নমেন্ট অ্যান্ড কমিউনিটি সার্ভিস বিষয়ক মন্ত্রী রস রোমানো প্রদেশজুড়ে এসব বিক্রেতাদের চিহ্নিতকরণ এবং তাদের জরিমানার আতওায় আনার ঘোষণা দেন।
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে এখন পর্যন্ত এ সংক্রান্ত ৫০০ এর বেশি অভিযোগ পাওয়ার কথা জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। ফার্মেসির মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি বিনামূল্যে অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট বিতরণের একই ধরনের আরেকটি যে কর্মসূচি আছে ৮ এপ্রিল তা শেষ হওয়ার কথা।