
কানাডাজুড়ে ওমিক্রন ঢেউ চূড়ায় পৌঁছাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। তবে সামনে ঠিক কী অপেক্ষা করছে সেটা অনুমান করা বেশ কঠিন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সামনে কী অপেক্ষা করছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের গতিবিধিতে তার ইঙ্গিত রয়েছে। ওমিক্রন আগে থেকেই বিদ্যমান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ফাঁকি দিতে সক্ষম হওয়ায় তার ছাড়ানোর হার দ্রুত। এই দুটো বিষয় একটির সঙ্গে সম্পর্কিত। কারণ, আপনার বিরুদ্ধে জনগণ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নিলেই কেবল আপনি দ্রুত তাদের মধ্যে আক্রমণ করতে সক্ষম হবেন। ওমিক্রনকে ইঙ্গিত করে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ঝুঁকিপূর্ণ জনগণের মধ্যেই ছাড়াচ্ছে ওমিক্রন এবং উচ্চ মাত্রায় স্বাভাবিক ইমিউনিটি রেখে যাচ্ছে। এটা ভালো দিক। এর ফলে অন্য ভ্যারিয়েন্টের জন্য কানাডায় জায়গা করে নেওয়াটা কঠিন হবে। কারণ, ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার পর অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই ইমিউনিটি তৈরি হয়ে গেছে। অথবা তারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন অথবা উভয়ই হয়েছে। পরবর্তী ভ্যারিয়েন্ট ও ঢেউয়ের তীব্রতা তুলনামূলক মৃদু হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
এরকমই কথার প্রতিধ্বনি শোনা গেলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপীয় অঞ্চলের পরিচালক ডা. হ্যান্স ক্লুগের কণ্ঠেও। তিনি বলেন, অন্য সব মহামারির মতো এই মহামারিরও শেষ আছে। তবে এখনই এ ব্যাপারে গা ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।
কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তেরেসা ট্যাম অবশ্য গত সপ্তাহে বলেছেন, ওমিক্রন ঢেউ চূড়ায় পৌঁছানোর ইতিবাচক ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে। সরকারের সামনে সময় এসেছে স্বাভাবিকতার কাছাকাছি ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা তৈরি করার।
অনেকেই মনে করছেন যে, ভাইরাসটির বিবর্তিত হয়ে এমন পর্যায়ের দিকে যাচ্ছে যা দুর্বল হচ্ছে। এর দ্বারা মৃদু অসুস্থতা দেখা দিতে পারে ভেবে অনেকে একে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। আমি তাদের সঙ্গে একমত নই। ব্যাপকভিত্তিক সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির প্রভাব এখনও ভালোভাবেই বিদ্যমান। করোনাভাইরাস দ্রুত বদলে যাচ্ছে। যেটা আমরা দেখেছি ডেল্টা থেকে ওমিক্রনে বিবর্তনের মধ্য দিয়ে। তাই আবারও মিউটেট হবে কিনা তা বলা কঠিন।