
পল স্ট্যান্সজ্যাক ও ড্যানিয়েলে বাবলিচের বড়দিনের মৌসুমটি বক্সিং ডেতে হঠাৎই থেমে গেলে। ২৬ ডিসেম্বর ভোর ৫টা ২০ মিনিটে প্রতিবেশীর ফোনে জানতে পারলেন যে, অন্টারিওর জর্জিয়ান বের আগুনে তাদের আংশিক সম্পন্ন হওয়া বাড়িটা ধ্বংস হয়ে গেছে।
তিন মিনিটের রাস্তা পাড়ি দিয়ে বাবলিচের বাবার বাড়ি থেকে সেখানে পৌঁছে স্ট্যান্সজ্যাক দেখলেন, আগুনের ঘটনায় কয়েক মিনিটেই তাদের বাড়িটি ধ্বংস হয়ে গেছে। অথচ বাড়িটির পেছনে ৪ লাখ ২৫ হাজার ডলার তারা এরই মধ্যে খরচ করে ফেলেছেন।
৪৪ বছর বয়সী স্ট্যান্সজ্যাক বলছিলেন, আমি সেখানে দাঁড়িয়ে আমাদের স্বপ্নের ভস্মিভুত হওয়া দেখছিলাম। অথচ এ নিয়ে আপনার করার কিছুই নেই।
৩৭ বছর বয়সী বাবলিচ বলছিলেন, আমাদের জীবনে এটান কঠিন একটা সময়। ছয় বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে ক্রাইম সিন হিসেবে চিহ্নিত স্থানটিতে তিনিও উপস্থিত হয়েছিলেন। তার ভাষায়, আমি আগুনে বাড়িটা ধ্বংস হয়ে যেতে দেখলাম।
স্ক্যান্ডিনেভিয়ান ধাচের শালেটি নিয়ে এক বছর ধরে কাজ করছেন টরন্টোর এই দম্পতি। গাছ পরিস্কার করা থেকে শুরু করে ভিত্তি দেওয়া ও কাঠামো তৈরির সব কাজই তারা মনোযোগের সঙ্গে করছিলেন। কিন্তু তারা এটির বিমা করার পথে হাটেননি। কারণ তারা কেবল তাদের সঞ্চয়ের ওপরই নির্ভর করেছেন, যাতে করে তাদের ব্যাংকঋণের দ্বারস্থ না হতে হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব বাড়ির মালিক বিমা কাভারেজ নিতে চান না তাদের আবেগী মানসিকতার চূড়ান্ত পরিণতি হতে পারে এ ধরনের বিপর্যয়।
বাড়ি নির্মাণে কোনো ঋণ নেওয়া না হলে মালিকরা ভবনের জন্য বিমা কাভারেজ নাও করতে পারেন। সেক্ষেত্রে বাড়ির কোনো ক্ষতি হলে তা বহন করতে হবে মালিককেই।
তবে ইন্স্যুরেন্স ব্যুরো অব কানাডার মুখপাত্র অ্যান মেরি থমাস বলেন, বিমা দায়ের বিষয়টি প্রায় সময়ই উপেক্ষা করেন বাড়ির মালিকরা। এটাকে আমার কাছে বিরল কিছু মনে হয় না। দায়েল বিষয়টি বিবেচনায় নিলে বিমা থাকাটা সব সময়ই ভালো ধারণা। কেউ যদি পিছলে পড়ে হাত ভেঙে ফেলেন বা মাথায় আঘাত পান তাহলে বাড়িতে আগতরা মামলা করতে পারেন।