অন্টারিওজুড়ে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ভাইরাসের সংক্রমণ হ্রাসে সঠিক নিয়মে মাস্ক পরিধান আবারও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ২০২০ সালের মার্চে করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকেই প্রাদেশিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা নাগরিকদের মাস্ক পরিধানের আহ্বান জানিয়ে আসছেন। কিন্তু বর্তমানে ওমিক্রনের দ্রুত বিস্তারের কারণে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা মাস্ক পরিধানের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানাচ্ছেন। সেই সঙ্গে আহ্বান জানাচ্ছেন মাস্ক যেনো সঠিক নিয়মে পরিধান করা হয়।
ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক ড. শাজিন সুলেমান সিপি২৪কে বলেন, মাস্ক পরার অর্থ এই নয় যে, তা আপনাকে অ্যারোসল থেকে সুরক্ষা দিচ্ছে। আপনার কাছ থেকেও অন্যদের সুরক্ষা দিচ্ছে। তাই মাস্কটি যাতে সঠিকভাবে পরা হয়, একাধিক স্তর বিশিষ্ট হয় এবং নাক ও থুতনি ঢেকে রাখে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
বেশি জনসমাগম হয় এমন ইনডোর স্পেস এবং যেখানে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা কঠিন সেখানে জনগণকে নন-মেডিকেল মাস্ক পরার সুপারিশ করা হয়েছে প্রদেশের পক্ষ থেকে। মেডিকেল মাস্কগুলো স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য সংরক্ষিত রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। যদিও এক স্তরের কাপড়ের মাস্ক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট থেকে নাগরিকদের সুরক্ষা নাও দিতে পারে বলে সাবধান করে দিয়েছেন অন্টারিওর কোভিড-১৯ সায়েন্স অ্যাডভাইজরি টেবিলের সায়েন্টিফিক ডিরেক্টর ড. পিটার জুনি।
সর্বোচ্চ সুরক্ষার জন্য বহু স্তরের মাস্ক গুরুত্বপূর্ণ বলে মত দিয়েছেন সুলেমানও। তার পরামর্শ হচ্ছে তিন স্তরের নীল রঙের নন-মেডিকেল কাপড়ের মাস্ক পরিধানের। জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, মনে রাখবেন নন-মেডিকেল মাস্ক আপনার নাক ও থুতনি আবৃত করে রাখে।