মুক্তি পাওয়ার আগে মাইকেল কোভরিগ ও মাইকেল স্প্যাভর নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেছেন কানাডায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত কং ঈেনউ। গত সেপ্টেম্বরে চীনের কারাগার থেকে মুক্তি পান এই দুই ভাই।
শুক্রবার তিনি বলেন, ফাইভ আইস অ্যালাইস অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো কানাডাও যদি তাদের ৫জি ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক উন্নয়নে হুয়াওয়ের অংশগ্রহণ আটকে দেয় তাহলে অটোয়া তার মূল্য দিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড তাদের ৫জি নেটওয়ার্ক উন্নয়নে হুয়াওয়ের অংশগ্রহণ আটকে দিয়েছে।
কোভরিগ ও স্প্যাভরকে নিয়ে উদ্বেগের কারণে কানাডা তাদের ৫জি নেটওয়ার্ক উন্নয়নের সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দেয়। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের পরোয়ানার পরিপ্রেক্ষিতে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ হুয়াওয়ের নির্বাহী মেং ওয়ানঝুকে গ্রেপ্তারের প্রতিশোধ হিসেবে চীন মাইকেল কোভরিগ ও মাইকেল স্প্যাভরকে তিন বছর আটক করে রাখে। রুদ্ধদ্বার বিচারে চীন কোভরিগ ও স্প্যাভরকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে। তবে কানাডা ও তার পশ্চিমা মিত্ররা এ রায়ের সমালোচনা করে এবং দুই মাইকেলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে।
শুক্রবার অল্প কযেকজন চীনা ও কানাডিয়ান সাংবাদিকের অংশগ্রহণে এক ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে কং বলেন, চীনা কর্তৃপক্ষ সব তথ্য পর্যালোচনা করে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে যে, তাদের অপরাধ নিয়ে কোনো মতভেদ নেই। সেই সঙ্গে তারা নিজেরাও তাদের অপরাধ স্বীকার করেছেন।
দুই মাইকেলের স্বীকারোক্তি নিয়ে অসমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস। গত সেপ্টেম্বরে তাদের মুক্তির পর ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, দুই মাইকেল তাদের অপরাধ স্বীকার করেছেন। একই সঙ্গে প্রতিবেদনে এও বলা হয় যে, স্বাস্থ্যগত কারণে তাদেরকে জামিন দেওয়া হয়েছে এবং জামিনকালে তারা কঠোর শর্ত মেনে চলতে বাধ্য থাকবেন।
গ্লোবাল টাইমসকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পত্রিকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পত্রিকাটিতে দুই মাইকেলের মুক্তি নিয়ে আর কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
কংকে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলরানি জোলির মন্তব্যেরও জবাব দিতে দেখা যায়। সিবিসির পাওয়ার অ্যান্ড পলিটিক্স অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে জোলি বলেন, এখনও সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয় আছে যেগুলোর মীমাংসা হয়নি। তাই দুই মাইকেলের মামলাটি আমরা চালিয়ে যেতে চাই।