দক্ষিণ আফ্রিকায় সনাক্ত নতুন কোভিড-১৯ ভ্যারিয়েন্ট কানাডাকে ভ্রমণ বিধিনিষেধ আরোপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে
দক্ষিণ আফ্রিকায় সনাক্ত নতুন কোভিড-১৯ ভ্যারিয়েন্ট কানাডাকে ভ্রমণ বিধিনিষেধ আরোপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। যদিও কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, মিউটেন্ট ভাইরাসটি এখানে আগেই ছিল এবং আমাদের উচিত আন্তর্জাতিক সহায়তায় মনোযোগ দেওয়া।
ফেডারেল স্বাস্থ্যমন্ত্রী জঁ-ইভস ডাকলোস শুক্রবার বিকালে জানান, নতুন ধরনটির বিস্তার রোধে কানাডা সরকার মোট পাঁচটি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে। ১৪ দিনের মধ্যে যেসব বিদেশি নাগরিক আফ্রিকার কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করেছেন তাদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এর মধ্যে অন্যতম।
ওমিক্রম নামে পরিচিত বি.১.১.৫২৯ ভাইরাসটিকে ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। কানাডার পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, ভারত, জাপান, ইসরায়েল ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যদিও সীমান্ত বন্ধ করে ও কম ভ্যাকসিনেশনের হারের দেশগুলোকে শাস্তি দেওয়াকে ভুল সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।
ট্রিলিয়াম হেলথ পার্টনারসের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সুমন চক্রবর্তী গ্লোবাল নিউজকে বলেন, কিছু দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় ভালোর চেয়ে খারাপই বেশি হবে। কারণ, ধরনটি সম্ভবত আগে থেকেই এখানে রয়েছে। আমাদের এটা মনে রাখতে হবে যে কেবল ভ্রমণ বন্ধ করে রেসপিরেটরি ভাইরাসকে আটকানো যাবে না। আরও অনেক পথ আছে যার মাধ্যম তা অন্য দেশে চলে যেতে পারে। এক্ষেত্রে সরবরাহ ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা যেতে পারে।
সুমন চক্রবর্তী বলেন, প্রাথমিক গবেষণা অনুযায়ী বর্তমানে আধিপত্যকারী কোভিড-১৯ ভ্যারিয়েন্টটির চেয়ে নতুন ভ্যারিয়েন্টটি যে বেশি মারাত্মক সে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এছাড়া ভ্যাকসিন এখন পর্যন্ত উচ্চ সংক্রমণের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিচ্ছে। ধরনটি যদি কানাডায় ঢোকেও তাহলেও তা সমগ্র জনগণকে সংক্রমিত করতে পারবে না। যেমন ভ্যাকসিনেশনের নিম্ন হারের কারণে অন্য ধরনগুলো করেছিল। একটা বিষয় আমি পরিস্কার করতে চাই এবং তা হলো আমি এটাকে একেবারে বাদ দিচ্ছি না কিন্তু আমি এটাকে বাড়িয়ে দেখাতেও চাই না।
গত সপ্তাহের শুরুর দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশটিতে কোভিড-১৯ এর নতুন ধরনটি সনাক্ত হয়। এখন পর্যন্ত ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা, ইসরায়েল, বেলজিয়াম ও হংকংয়ে সনাক্ত হয়েছে।