
কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক কর্মকা- পুনরায় চালু করার পরিকল্পনা কিছুটা হোচট খেলেও উদ্বেগের কিছু দেখছেন না স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। বুধবার কানাডায় নতুন করে ২ হাজার ৫৭৬ জন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ও ৩৩ জন মারা গেছেন।
কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তেরেসা ট্যামের মতে, সাপ্তাহিক সংক্রমণ আগের সপ্তাহের তুলনায় ৭ শতাংশ বেড়েছে। তবে সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী হলেও হাসপাতাল ও আইসিইউতে ভর্তি এখনও নি¤œমুখী। বর্তমানে হাসপাতাল ও আইসিইউতে ভর্তির হার যথাক্রমে ৬ ও ১২ শতাংশ।
সংক্রমণের এ উর্ধ্বগতিতে অন্টারিওর অর্থনৈতিক কর্মকা- পুনরায় শুরু করার চেষ্টা কিছুটা হোচট খেয়েছে। নৈশক্লাব, বিবাহোত্তর সংবর্ধনা যেখানে নাচের আয়োজন থাকে, স্ট্রিপ ক্লাব, সেক্স ক্লাব ও বাথহাউজের মতো সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা কিছু স্থানে ধারণক্ষমতার সীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা স্থগিত করেছে প্রদেশ। সোমবার এসব স্থানে ধারণক্ষমতার সীমা বাড়ানোর কথা ছিল। এর পরিবর্তে কোনো ধরনের পরিবর্তন আনার আগে এখন ২৮ দিন পর্যবেক্ষণ করা হবে।
তা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত প্রদেশ যেদিকে যাচ্ছে তাতে খুশি অন্টারিও জনস্বাস্থ্য বিভাগের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. কিয়েরান মুর। সেই সঙ্গে প্রাদেশিকভাবে বিধিনিষেধ কঠোর করা হবে না বলেও মনে করছেন তিনি। ডা. কিয়েরান মুর বলেন, প্রাদেশিক পর্যায়ে পেছনে যাওয়ার কোনো সুযোগ আমি দেখছি না। সরকারের প্রতি আমার পরামর্শ থাকবে যদি প্রয়োজন হয়েই থাকে তাহলে আমরা স্থগিত করি। কিন্তু পেছনের দিকে যাবো না।
প্রদেশের পক্ষ থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শীতের কারণে জনগণ যেহেতু বেশি করে বাইরে বেরোচ্ছে এবং জনস্বাস্থ্য বিধিবিধানগুলোও শিথিল করা হয়েছে তাই সংক্রমণ বাড়াটা প্রত্যাশিতই ছিল।
গত বুধবার অন্টারিওতে নতুন করে ৪৫৪ জন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। আগের দুই সপ্তাহের একই দিনে আক্রান্ত হয়েছিলেন যেখানে যথাক্রমে ৩৭৮ ও ৩২১ জন। প্রদেশে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে বুধবার আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে প্রদেশে মারা গেলেন মোট ৯ হাজার ৯১২ জন।
১২ বছর ও তা বেশি বয়সী অন্টারিওবাসীর ৮৫ দশমিক ১ শতাংশ এরই মধ্যে উভয় ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। আর প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৮৮ দশমিক ৫ শতাংশ অন্টারিওবাসী।
এদিকে ম্যানিটোবাও সংক্রমণ বাড়তে থাকায় তাদের পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়েছে। প্রদেশের পক্ষ থেকে বুধবার বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত কঠোর আদেশ আসছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
ম্যানিটোবা জনস্বাস্থ্য বিভাগের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. ব্রেন্ট রোসিন বলেন, বেশ কিছু জনস্বাস্থ্য বিধিবিধান বর্তমানে বলবৎ আছে। তা সত্ত্বেও সংক্রমণের উর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে আরও কিছু বিধিবিধান আরোপ প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
এসব বিধিবিধানের মধ্যে ধারণক্ষমতার সীমা কমিয়ে আনা, জনসমাগম সীমিত করা ও আরও বেশি সংখ্যক ভেন্যুতে ভ্যাকসিনেশনের পক্ষে প্রমাণপত্র প্রদর্শনের মতো ব্যবস্থা চালুর ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
ম্যানিটোবায় বুধবার নতুন করে ১৪৩ জন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন এবং আরও দুজন মারা গেছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণ এখন ম্যানিটোবাতে।