বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
4.3 C
Toronto

Latest Posts

মহামারি সহায়তার অর্থ অপরাধীদের কাছে

- Advertisement -
মহামারির বিরূপ প্রভাব প্রশমনে কানাডিয়ানদের আয় সহায়তা হিসেবে কয়েক বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে ফেডারেল সরকার

মহামারির বিরূপ প্রভাব প্রশমনে কানাডিয়ানদের আয় সহায়তা হিসেবে কয়েক বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে ফেডারেল সরকার। যদিও এ জরুরি সহায়তা অপরাধীদের কাছেও পৌঁছেছে।

সাম্প্রতিক এক আর্থিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, অপরাধী ও সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র জেনেবুঝে কানাডা ইমার্জেন্সি রেসপন্স বেনিফিট (সিইআরবি) ও কানাডা ইমার্জেন্সি বিজনেস অ্যাকাউন্ট (সিইবিএ) কর্মসূচি নিয়ে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে।

- Advertisement -

ফাইন্যান্সিয়াল ট্রানজ্যাকশন্স অ্যান্ড রিপোর্টস অ্যানালিসিস সেন্টার অব কানাডার (ফিনট্র্যাক) পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সিইআরবি কর্মসূচির প্রথম কয়েক মাসে অপরাধী সংগঠনগুলো পরিচয় চুরি করে একাধিক আবেদন দাখিল করে। ২০২০ সালের ফিনট্র্যাক রিপোর্টে বলা হয়েছে, শহরের বিভিন্ন স্থানে সহায়তার চেক নগদায়নের জন্য তারা লোক নিয়োগ করে। লোক নিয়োগের জন্য কিছু ক্ষেত্রে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও ব্যবহার করে।

সিইআরবি কর্মসূচি মার্চে শুরু হয় এবং মহামারির কারণে যাদের আয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরকে এ কর্মসূচির আওতায় মাসে ২ হাজার ডলার করে দেওয়া হয়। এমপ্লয়মেন্ট ইন্স্যুরেন্সের মাধ্যমে অর্থ প্রদানের আগ পর্যন্ত এ কর্মসূচির আওতায় মোট ৭ হাজার ৪০০ কোটি ডলার পরিমোধ করেছে সরকার।

কানাডা ইমার্জেন্সি বিজনেস অ্যাকাউন্ট কর্মসূচির ক্ষেত্রেও একই প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে অপরাধী সংগঠনগুলো। আবেদনকারীরা তাদের বিজনেস অ্যাকাউন্ট থেকে ভর্তুকির ৪০ হাজার ডলার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নিয়ে পরবর্তীতে তা উত্তোলন করে।

ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগিরির আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সানা আহমেদ এ প্রসঙ্গে বলেন, আপনি কেন এটা নেবেন না? বলতে গেলে এটা বিনা পরিশ্রমের অর্থ। সুযোগ কাজে লাগানোর মধ্য দিয়ে যেসব অপরাধ সংঘটিত হয় এটাও সে ধরনেরই অপরাধ বলে আমার মনে হয়। এমনকি সরকার যখন জরুরি সহায়তা কর্মসূচির ঘোষণা দেয় তখনও আমাদের ধারণা জন্মেছিল যে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।

গোয়েন্দা প্রতিবেদন বলছে, পরিচয়পত্র চুরি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে লোক নিয়োগের মধ্য দিয়ে নির্দিষ্ট কিছু শহরে সিইআরবি জালিয়াতি চালিয়েছে অপরাধী সংগঠনগুলো।

ফিনট্র্যাকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের শুরু থেকে চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সন্দেহজন ৩০ হাজার ৯৫টি লেনদেনের তথ্য তারা পেয়েছে। এর সিংহভাগ অর্থাৎ ৩০ হাজারটি মানবপাচার ও মাদক সংক্রান্ত। এর মধ্যে ১ হাজার ৫০০টির মতো লেনদেন সিইআরবি অথবা সিইবিএ জালিয়াতির সঙ্গে সম্পর্কিত।

- Advertisement -

Latest Posts

Don't Miss

Stay in touch

To be updated with all the latest news, offers and special announcements.