অটোয়ার কৃত্রিম গর্ভধারণ মামলাটি ১ কোটি ৩০ লাখ ডলারে মীমাংসার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে অন্টারিওর আদালত। এ অর্থ দুই পরিবারের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া হবে। তাদের অভিযোগ, কৃত্রিম গর্ভধারণের জন্য অটোয়ার এক ফার্টিলিটি চিকিৎসক নিজের স্পার্ম দান করেছিলেন।
সুপিরিয়র কোর্টের বিচারপতি ক্যালাম ম্যাকলিয়ড এদিন ভার্চুয়াল শুনানিতে ডা. নরমান বারউইনের বিরুদ্ধে ক্লাস-অ্যাকশন মামলাটি মীমাংসার জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন। মামলাটি ক্লাস অ্যাকশন ঘোষিত হওয়ার পর গত জুলাইয়ে এটি মীমাংসার প্রস্তাব দেওয়া হয়। আদালত আরও ১৮ জনসহ মোট ২৪৪ জনের বক্তব্য শোনে। ক্লাস সদস্যদের মধ্যে আছেন বারউইনের সাবেক রোগী, যিনি ভুল দাতার স্পার্মের সাহায্যে কৃত্রিম উপায়ে গর্ভধারণের অভিযোগ আনেন। রোগীর স্বামী, গর্ভজাত শিশু ও স্পার্মদাতা যিনি বারউইনকে বিশ^াস করেছিলেন তাকেও ক্লাস সদস্য করা হয়েছে।
কে কোন শ্রেণিতে পড়েন তার ভিত্তিতে ক্লাস সদস্যদের মধ্যে উল্লেখিত অর্থ বণ্টন করে দেওয়া হবে। আরও বেশি সংখ্যক মানুষ মামলায় অংশ নেন কিনা তার ওপরও নির্ভর করছে বিষয়টি।
ম্যাকলিয়ড বলেন, আমার বিশ^াস সবার সর্বোচ্চ স্বাথেই মীমাংসাটি হচ্ছে। এ নিয়ে কোনো ক্লাস সদস্য বিরোধিতা বা কোনো অনুরোধ করেননি।
বিচারপতি এ মীমাংসাকে যৌক্তিক বলে আখ্যায়িত করে বলেন, এ ধরনের আর কোনো মামলা না থাকায় ন্যায্য ক্ষপিূরণ মূল্যায়ন করাটা কঠিন।
আদালতের নথি অনুযায়ী, বারউইন মীমাংসার বিষয়ে রাজি হলেও তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে এর কোনো দায় নিতে চাননি। কয়েক বছর আগেই তার মেডিকেল লাইসেন্স পরিত্যাগ করেন। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ব্যাপারে কোনো চ্যালেঞ্জ না করায় কলেজ অব ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জন অব অন্টারিও পরবর্তীতে তা রদ করে।
২০১৬ সালে ডেভিনা, ড্যানিয়েল ও রেবেকা ডিক্সন মামলাটি দায়ের করেন। ডিএনএ পরীক্ষার পর তারা জানতে পারেন যে রেবেকা বারউইনের বায়োলজিক্যাল মেয়ে।
মীমাংসার অর্থের একটি অংশ বারউইনের জিম্মায় রেখে দেওয়া সিমেনের দাতা ও পিতৃ পরিচয়হীন শিশুর মধ্যে সম্পর্ক খুঁজতে ডিএনএ ডাটাবেজ পরিচালনায় ব্যয় করা হবে। আদালতের অনুমোদন সাপেক্ষে বাদির আইনজীবীরাও তহবিলের একটি অংশ পাবেন। খবর: দ্য কানাডিয়ান প্রেস।