প্রদেশজুড়ে ইলেক্ট্রিক স্কুটার ব্যবহারের পরীক্ষামূলক যে প্রকল্প তা থেকে সরে আসতে পারে টরন্টো। পাঁচ বছর মেয়াদী পরীক্ষামূলক প্রকল্পটি ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় এবং রোডওয়ে অথবা মহামড়কের প্রান্তে ই-স্কুটার পরিচালনার জন্য মিউনিসিপ্যালিটিগুলোকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়।
সড়কে চলাচলকারী ই-স্কুটারগুলোর গতিসীমা অবশ্যই ঘণ্টায় ২৪ কিলোমিটারের মধ্যে থাকতে হবে। সইে সঙ্গে হর্ন অথবা বেলের ব্যবস্থাও রাখতে হবে। আর এই স্কুটারের যারা যাত্রী হবেন তাদের বয়স কমপক্ষে ১৬ বছর এবং ১৮ বছরের কম হলে তাদেরকে অবশ্যই হেলমেট পরতে হবে।
পরীক্ষামূলক প্রকল্পটি চালু করতে হলে মিউনিসিপ্যাল বাইলজ সংশোধনের প্রয়োজন। বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করার পর টরন্টো সিটি কাউন্সিল গত বছরের জুলাই মাসে তাদের পরিবহন বিভাগকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলে। ই-স্কুটার নিয়ে যেসব বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় তার মধ্যে অন্যতম হলো বিকলাঙ্গ ও জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের সুরক্ষা।
বিষয়টি নিয়ে বিস্তৃত পরিসরে গবেষণা চালিয়ে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয় যে, ব্যক্তিগত মালিকানা ও ভাড়ায় চালিত ই-স্কুটারের নিরাপত্তা উদ্বেগ ও ইন্স্যুরেন্স ইস্যুটি অমীমাংসিতই রয়েছে। এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি আগামী সপ্তাহে ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট কমিটিতে উপস্থাপন করার কথা রয়েছে।
উদ্বেগ নিরসনের ব্যাপারে ই-স্কুটার শিল্পের তরফ থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তাতে সন্তুষ্ট নয় টরন্টো অ্যাকসেসিবিলিটি অ্যাডভাইজরি কমিটি, বিকলাঙ্গ মানুষজন, স্থানীয় বাসিন্দা সিটি কর্তৃপক্ষের কর্মীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষামূলক ই-স্কুটার প্রকল্পে আগ্রহ না দেখাতে সিটি কর্মীদের পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে।
এদিকে ২০২১ সালের এপ্রিলে একটি সীমাক্ষা চালিয়েছে ন্যানোস। তাতে টরন্টোর সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ পরীক্ষামূলক ই-স্কুটার প্রকল্পের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। ৭৫১ জনের ওপর অনলাইনে ১৪ থেকে ১৬ এপ্রিল সমীক্ষাটি চালানো হয়। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৭৬ শতাংশ হয় পুরোপুরি না হয় মোটামুটি প্রকল্পের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। ৩৪ দশমিক ৫ শতাংশ সুনির্দিষ্টভাবে ই-স্কুটারের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। ৩৫ শতাংশ কিছুটা হলেও প্রকল্পের প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছেন। কোনো মতামত দেননি সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী টরন্টোর ১২ শতাংশ নাগরিক।