
ভ্যাকসিন পাসপোর্ট এই মুহূর্তে জরুরি নয় এবং ফোর্ড সরকার এ নিয়ে ভাবছে না বলে জানিয়েছেন অন্টারিও জনস্বাস্থ্য বিভাগের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. কিয়েরান মুর। টরন্টো বোর্ড অব ট্রেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার এক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ডা. কিয়েরান মুর বলেন, অন্টারিওর মধ্যে ভ্যাকসিন পাসপোর্ট নিয়ে সরকার কিছু ভাবছে না। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে জনগণ, কমিউনিটি ও ব্যবসার সুরক্ষায় বাধ্যবাধকতা আরোপ না করেই যত বেশি সম্ভব ভ্যাকসিনেশনের হার বাড়ানো এবং সেটা খুবই ভালোভাবে হচ্ছে। ১৮ বছরের বেশি বয়সী ৭৯ শতাংশ নাগরিক এরই মধ্যে এক ডোজ ভ্যাকসিন পেয়ে গেছেন। উভয় ডোজের ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৫৭ শতাংশ। কোনো ধরনের বাধ্যবাধকতা ও ভ্যাকসিন পাসপোর্টের শর্ত ছাড়াই এটা অসাধারণ অর্জন। তাই আমার মনে হয় না, এ অবস্থানে দাঁড়িয়ে ভ্যাকসিন পাসপোর্ট জরুরি কিছু। কারণ ব্যাপক হারে অন্টারিওবাসী ভ্যাকসিন নিচ্ছেন।
তবে কুইবেক এরই মধ্যে মধ্যম বা উচ্চ মাত্রায় সংক্রমণের ঝুঁকি আছে এমন কার্যক্রম যেমন বার, জিম ও কনটাক্ট স্পোর্টসের মতো অনুষ্ঠানে ভ্যাকসিন পাসপোর্ট চালুর কথা এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে। ফ্রান্সসহ আরও কিছু দেশও একই পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। যদিও অন্টারিওর কর্মকর্তা বিষয়টি বাতিল করে এটা ফেডারেল ইস্যু বলে মত দিয়েছে।
অন্টারিও সরকারের এই মুহূর্তে ভ্যাকসিন পাসপোর্ট চালুর কোনো পরিকল্পনা না থাকলেও কিছু সংস্থা ভ্যাকসিনেশনের ব্যাপারে তাদের নিজস্ব নীতি চালু করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে সেনেকা কলেজের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে। সরাসরি পাঠ গ্রহণ, পাঠ দান ও কাজের জন্য ক্যাম্পাসে প্রবেশের আগে প্রত্যেক শিক্ষার্থী ও কর্মীকে ভ্যাকসিনেটেড হতে হবে বলে মঙ্গলবার জানিয়ে দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। সরসারি শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের আগে ভ্যাকসিনেটেড হওয়ার শর্ত আরোপ করা অন্টারিওর প্রথম পোস্ট সেকেন্ডারি স্কুল এটাই। যদিও এর আগে রেয়ারসন ও ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোসহ বেশ কিছু বিশ^বিদ্যালয় ও কলেজ আবাসিক শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনেটেড করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল।
সেনেকা কলেজের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে অন্টারিও জনস্বাস্থ্য বিভাগের অ্যাসোসিয়েট মেডিকেল অফিসার বারবারা ইয়াফে মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে বলেন, জনগণের সুরক্ষা বাড়াবে এমন যেকোনো নীতির প্রতি আমার সমর্থন আছে। সংক্রমণ থেকে নিজেকে ও অন্যকে সুরক্ষিত রাখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা হলো ভ্যাকসিন নেওয়া। ফল এসে পড়ছে এবং জনসমাগম এই সময় বেড়ে যাবে। এ অবস্থায় সুরক্ষঅ ব্যবস্থা উন্নত করতে প্রয়োজনীয় সবকিছুই আমাদের করা উচিত।