যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। পাশাপাশি তার স্ত্রী সোফিও ক্যামেরার সামনেই ভ্যাকসিনটির প্রথম ডোজ নিয়েছেন। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনে যে ভয়ের কিছু নেই ভ্যাকসিনটি গ্রহণের মধ্য দিয়ে সেই বার্তা নাগরিকদের দিতে চেয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন ধার করেছে কানাডা। বাল্টিমোরে মান পরীক্ষায় ভ্যাকসিনটিতে যে কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি সেটিও জোর দিয়ে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তার ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রী অনীতা আনান্দ।
ভ্যাকসিন নেওয়ার পর শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো বলেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের ব্যাপারে কানাডিয়ানদের ভয়ের কিছু নেই। এ নিয়ে কারও উদ্বিগ্ন হওয়ারও কোনো কারণ নেই।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন উৎপাদন করছে এমার্জেন্ট সলিউশন বাল্টিমোর প্লান্টে। এই প্লান্টের ভ্যাকসিন নিয়ে সমস্যার কথা গণমাধ্যমে আসার পরপরই ফেডারেল সরকার বিষয়টি নিয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে জানান অনীতা আনান্দ। তবে ইমার্জেন্ট এ মাসের শুরুর দিকে জানায়, দুষণের কারণে এ মাসে জনসন অ্যান্ড জনসনের দেড় কোটি ডোজ ভ্যাকসিন নষ্ট হয়েছে। এর পরপরই হোয়াইট প্লান্টটির দায়িত্ব জনসন অ্যান্ড জনসনের হাতে ছেড়ে দেয়।
অনীতা আনান্দ বলেন, বিষয়টি সামনে আসার পরপরই আমরা সরবরাকারকের সঙ্গে যোগাযোগ করি। কানাডায় আসা চালানের সঙ্গে এ বিষয়টির সম্পর্ক নেই বলে জানায় তারা।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন নেওয়ার পর খুবই সামান্য সংখ্যক মানুষের দেহে রক্ত জমাট বাধার ঘটনা ঘটেছে। বিশ^ব্যাপী কর্মকর্তা ও গবেষকরা এটি গবেষণা করে দেখছেন। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বারবার জোর দিয়ে বলছেন, ভ্যাকসিনের কারণে জটিলতার যে ঝুঁকির কথা বলা হচ্ছে, এর সুফল তার থেকে অনেক বেশি। কানাডার ন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি অন ইমিউনাইজেশন এরই মধ্যে ৩০ বছর ও তার বেশি বয়সীদের ওপর অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমতিও দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ভ্যাকসিন ধার পাওয়ার বিষয়ে জাস্টিন ট্রুডো বলেন, আমাদের অবস্থান জানিয়ে এবং কীভাবে আমরা এ ব্যাপারে একযোগে কাজ করতে পারি তা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তাই জো বাইডেনের সংবাদ সম্মেলনে ভ্যাকসিনের প্রসঙ্গটি আসা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
এ ব্যাপারে অনীতা আনান্দ বলেন, দুই দেশের মধ্যে আরও ভ্যাকসিন বিনিময় নিয়ে আলোচনা চলছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্যেও সেটা প্রতিধ্বনিত হয়েছে।