এক কর্মীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কে জড়িয়ে টরন্টোর সাবেক মেয়র জন টরি সিটির কোড অব কন্ডাক্ট লঙ্ঘন করেছেন। এরপর ওই কর্মী সিটি হল ছেড়ে একটি কোম্পানিকে বিশ^কাপ আয়োজনে সহায়তা করার সময় ফিফা বিশ^কাপ নিয়ে কাউন্সিল ভোটে অংশ নিয়েও নৈতিকতা লঙ্ঘন করেছেন তিনি। এমনটাই জানিয়েছেন টরন্টোর ইন্টিগ্রিটি কমিশনার।
জন টরি একজন রাজনৈতিক কর্মীর সঙ্গে সম্মতির ভিত্তিতে সম্পর্ক শুরু করেন। ২০২০ সালের গ্রীষ্মে ওই কর্মী তার কার্যালয়েই কর্মরত ছিলেন। এর প্রায় তিন বছর পর এই সম্পর্কের কারণে শেষ পর্যন্ত তিনি পদত্যাগ করেন।
১২২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয়েছে। ইন্টিগ্রিটি কমিশনার জোনাথন বেটি প্রতিবেদনে বলেছেন, ওই সম্পর্কের মাধ্যমে জন টরি কাউন্সিলের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন। তিনি ‘হিউম্যান রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড এথিক্যাল ফ্রেমওয়ার্ক ফর মেম্বারস’ স্টাফ’ এর শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন।
টরন্টোর ফিফা বিশ^কাপ আয়োজন নিয়ে দুই দফা কাউন্সিল ভোটে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়েও আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। কারণ, সাবেক ওই কর্মী এমন একটি কোম্পানিতে চাকরি নিয়েছিলেন যেটা বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। বিষয়টিতে ভোট ওই কর্মীর নিয়োগে প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলে থাকতে পারে। বিশেষ করে তখনো সম্পর্কে থাকার কারণে।
যদিও জন টরি সিটির হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড অ্যান্টি-হ্যারাসমেন্ট ডিসক্রিমিনেশন পলিসি লঙ্ঘন করেননি অথবা তার কার্যালয়ে ওই কর্মী কর্মরত থাকাকালে অথবা পরবর্তীতে ম্যাপল লিফ স্পোর্টস অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্টে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রেও মেয়রের ক্ষমতার অপব্যবহার করেননি।
কোনো কাউন্সিলর বা মেয়র আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে কাউন্সিল সাধারণত বেতন বন্ধ করে দিয়ে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে। কিন্তু জন টরি আর পদে না থাকায় তার ক্ষেত্রে বেতন বন্ধের কোনো বিষয় থাকছে না বলে জানান বেটি।
উল্লেখ্য, এই সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করে গত ফেব্রুয়ারিতে মেয়রের পদ থেকে সরে দাঁড়ান জন টরি। পদত্যাগের পর বিষয়টি তদন্তের জন্য ইন্টিগ্রিটি কমিশনারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।