কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দুই বছরের বেশি সময় ধরে অর্থনীতিতে বিশৃঙ্খলতার পর কানাডার শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ ভালো বলে মনে হচ্ছে। স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শ্রমশক্তিতে ২৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সী নারীদের অংশগ্রহণ ৮৫ শতাংশে পৌঁছেছে, দেশের ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ। একই সময়ে সব কর্মীদের মধ্যে বেকারত্বের হারও রেকর্ড সর্বনিম্ন নেমে এসেছে।
সরকারি ও কেয়ার ইকোনমিতে কর্মরত নারীরা মহামারির সময় সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হন। অন্যরা কাজে থাকলেও বাড়িতে তাদের বিনা বেতনে কাজ ও কেয়ার ওয়ার্ক ব্যাপক হারে বেড়ে গিয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দুইয়ের কারণে সামগ্রিকভাবে নারীদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও লিঙ্গ সমতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
লেবার মার্কেট ইনফরমেশন কাউন্সিলের অর্থনীতিবিদ ব্রিটানি ফিওর বলেন, আগের মন্দাগুলোর চেয়ে এবারের মহামারি নারীদের জন্য বেশি ক্ষতিকর হিসেবে দেখা দেয়। আগের মন্দাগুলোতে যারা কাজ হারিয়েছিলেন তাদের মাত্র ১৭ শতাংশ ছিলেন নারী। পুরুষরাই কাজ হারিয়েছিলেন বেশি। কিন্তু মহামারির কারণে সৃষ্ট মন্দায় চাকরি হারানোর হার নারী ও পুরুষের মধ্যে প্রায় সমান ছিল।
কানাডিয়ান সেন্টার ফর পলিসি অল্টারনেটিভসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাকোমোডেশন, খাদ্য পরিষেবা ও বিনোদনের মদো ঝুঁকিপূর্ণ খাতগুলোতে শুরুতে অনেক নারী কর্মীকে কাজ করতে হয়।
তবে মায়েদের কর্মে নিযুক্তির যে হার তাতে এই প্রবৃদ্ধি নাও থাকতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন ফিওর। তিনি বলেন, শিশুদের নিয়ে বাড়িতে থাকা অথবা শিশু সন্তান নিয়ে বাড়িতে বসে কাজ নারীদের কর্মজীবনকে এমনভাবে প্রভাবিত করতে পারে এখনই যা জানা সম্ভব নয়।
গত ২০-২১ এপ্রিল এক হাজার ৫০৬ জন কানাডিয়ানের ওপর একটি জরিপ চালিয়েছে মারু/ম্যাচবক্স। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে দুইজন বলেছেন, বাড়ি ও কেয়ারগিভিংয়ের দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে কর্মজীবনে পিছিয়ে পড়ছেন তারা।