দুই হাজারের বেশি কর্মী এখন পর্যন্ত তাদের ভ্যাকসিন সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেনি। তথ্য প্রকাশের সময়সীমা ফুরিয়ে আসায় কর্মী সংকটের মুখে রয়েছে টিটিসি। কর্মী সংকটের ফলশ্রুতিতে বুধবার প্রাথমিকভাবে সেবার পরিধি কমিয়ে আনার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও যাত্রী সংখ্যা এখনও স্বাভাবিক সময়ের অর্ধেক রয়েছে।
টিটিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিক লিয়ারি এক বিবৃতিতে বলেছেন, নগরীর ব্যস্ততম রুটগুলোতে নির্ধারিত সেবা সুরক্ষিত ও বহাল রাখাকে কেন্দ্র করেই সেবার এ পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। ২০ নভেম্বর কর্মীদের ভ্যাকসিনেশন সংক্রান্ত তথ্য প্রদানের শেষ দিন। কর্মী সংকট সত্ত্বেও নভেম্বর ও ডিসেম্বরে আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সেবা দিতে পারবো। যাদের খুব বেশি প্রয়োজন এবং গ্রাহকরা যে সেবা আমাদের কাছে প্রত্যাশা করেন তা সরবরাহ করা আমাদের অগ্রাধিকার।
বুধবার কর্মীদের জন্য যে সূচি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে নগরীর ব্যস্ততম সার্ফেস রুট যেমন উইলসন, জেন, ইগলিনটন ও ফিঞ্চে সেবা চালু রাখাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। লিয়ারি বলেন, অন্য রুটগুলোতে গ্রীষ্ম ও ডিসেম্বরে অনেক সময় সেবায় মৌসুমী যে পরিবর্তন আনা হয় সাময়িক সময়ের জন্য সেবায় একইরকম পরিবর্তন আসবে। নির্ধারিত অপেক্ষমাণ সময়ের যে পরিবর্তন সাধারণত তা হবে খুবই সীমিত এবং সব পরিবর্তনই হবে যাত্রী সংখ্যার ভিত্তিতে টিটিসির সেবার মানদ-ের মধ্যে থেকে।
অন্য যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তার মধ্যে আছে নতুন অপারেটর নিয়োগ, সাপ্তাহিক ও রাত্রীকালিন বন্ধ বাতিল করা এবং অবসরপ্রাপ্তদের কাজে ফেরানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। টিটিসির যেসব কর্মী ২০ নভেম্বরের মধ্যে ভ্যাকসিন ডোজ পূর্ণ না করবেন অথবা সুপারভাইজরদের কাছে ভ্যাকসিনেশন সংক্রান্ত তথ্য প্রদানে অস্বীকৃতি জানাবেন তাদেরকে বেতন ছাড়াই ছুটিতে পাঠানো হবে। আর যেসব কর্মী এ বছরের মধ্যে ভ্যাকসিনেশন সংক্রান্ত তথ্য প্রদানে অস্বীকৃতি জানাবেন তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হবে। টিটিসির ১৫ হাজার ৯০ জন কর্মীর মধ্যে ৮৮ শতাংশ এখন পর্যন্ত তাদের ভ্যাকসিনেশন সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছেন।