পুলিশ কোনো কম্পিউটার ব্যবহারকারীর ইন্টারনেট প্রটোকল (আইপি) অ্যাড্রেস নিতে চাইলে বিচার বিভাগের অনুমোদন প্রয়োজন বলে জানিয়েছে কানাডার সুপ্রিম কোর্ট। এই পরিচিতি নম্বরকে একজন ব্যক্তি ও তার অনলাইন কর্মকা-ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ বলেও মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
২০১৭ সালে শুরু হওয়া এক মামলার রায়ে ১ মার্চ বিভক্ত রায় দেন সর্বোচ্চ আদালত। পক্ষে রায় দেন ৫ জন ও বিপক্ষে ৪ জন। ক্যালগেরি পুলিশ সে সময় একটি লিকার স্টোর থেকে জালিয়াতিপূর্ণ অনলাইন লেনদেনের তদন্ত করছিল।
স্টোরের তৃতীয় পক্ষের পেমেন্ট প্রসেসর স্বেচ্ছায় পুলিশকে দুটি আইপি অ্যাড্রেস সরবরাহ করে। এরপর পুলিশ গ্রাহকের নাম ও ঠিকানা দিতে সার্ভিস প্রোভাইডারকে বাধ্য করে। পরবর্তীতে পুলিশ দুটি বাড়িতে তল্লাশির পরোয়ানা সংগ্রহ করে এবং অ্যান্দ্রেই বাইকোভেটস নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন।
আইপি অ্যাড্রেস চাওয়ার মধ্য দিয়ে পুলিশ চার্টার অব রাইটসে দেওয়া অযৌক্তিক তল্লাশি ও কোনো কিছু জব্দ করার বিরুদ্ধে সুরক্ষা লঙ্ঘিত হয়েছে বলে যুক্তি দেওয়া হলেও বিচারক জাজ তা প্রত্যাখ্যান করেন। আলবার্টা কোর্ট অব আপিলের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারক বাইকোভেটসের আপিল খারিজ করে দেন, যা মামলাটি তাকে সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যেতে প্রভাবিত করে। হাইকোর্ট বাইকোভেটসের আপিল গ্রহণ করে এবং দোষী সাব্যস্ত করে দেওয়া রায় সরিয়ে রাখে। সেই সঙ্গে নতুন বিচারের আদেশ দেয়।
সংখ্যাগরিষ্ঠ আদালতের পক্ষে বিচারপতি অ্যান্ড্রোম্যাশ কারাকাটসানিস বলেছেন, কোনো ব্যবহারকারীর ইন্টারনেট অ্যাক্টিভিটি জানতে আইপি অ্যাড্রেস গুরুত্বপূর্ণ। এবং শেষ পর্যন্ত এটা গোপনীয়তা সুরক্ষার যৌক্তিক প্রত্যাশার দাবি করতে পারে।