
চীন সরকারের হাতে হানিস্পট কৌশলের শিকার হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন টরন্টো এমপি কেভিন ভুয়োঙ্গ। তার বিরুদ্ধে আনা যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ২০২১ সালের ফেডারেল নির্বাচনের আগে আগে প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করতে না পারায় লিবারেল পার্টির প্রার্থী তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়।
কেভিন ভুয়োঙ্গ পরে স্পাদিনা-ফোর্ট ইয়র্ক থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এমপি নির্বাচিত হন। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, যে নারী ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন তিনি চীন সরকারের পক্ষে কাজ করে থাকতে পারেন। খেয়াল করলে দেখবেন আমার সঙ্গে যা ঘটেছে তার সঙ্গে চীনের হানি ট্র্যাপের মিল রয়েছে।
তিনি বলেন, আপনারা আমাকে পরাজিত করতে পারেননি। চীন সরকার আমার সঙ্গে যেটা করেেত পেরেছে তা হলো আমার নামটি কর্দমাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।
কানাডার গোয়েন্দা সংস্থা সিএসআইএস হানিট্র্যাপ বলতে যৌন ফাঁদকে বুঝিয়ে থাকে, যেখানে আপনাকে প্রলুব্ধ করে এমন অবস্থায় নিয়ে যাবে যাতে করে ব্ল্যাকমেইল করতে সুবিধা হয়।
ভুয়োঙ্গ তার দাবির স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। তিনি বলেছেন, সিএসআইসের সঙ্গে তার বৈঠক ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে গোপনীয়তার কথা বলে তাদের মধ্যকার কথপোকথন প্রকাশ করতে চাননি তিনি। এই রাজনীতিক বলেন, তিনি চীন সরকারের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছিলেন বলে তার বিশ^াস। কারণ, চীন সরকার চেয়েছিল স্পাদিনা-ফোর্ট ইয়র্কে এমন কেউ প্রতিনিধিত্ব করুক, যিনি তাদের ও তাদের এজেন্ডার প্রতি সহানুভূতিশীল থাকেন। আমার সংসদীয় আসনে যারা আমাকে পছন্দ করেন তাদের প্রতি সাতজনের মধ্যে একজন চীনা বংশোদ্ভূত। সুতরাং, আমার কমিউনিটি যে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত লক্ষ্য হবে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
ভুয়োঙ্গ যেদিন এ মন্তব্য করেন ত্রা ঠিক পরদিন সিএসআইএসকে সব ধরনের হুমকির ব্যাপারে এমপিদের অবহিত করার নির্দেশ দেন। হুমকির সে তথ্য কতটা বিশ^াসযোগ্য সেটা এক্ষেত্রে বিবেচন্য নয়। কনজার্ভেটিভ এমপি মাইকেল চঙ ও তার পরিবারের প্রতি হুমকি আসার পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে গ্লোব অ্যান্ড মেইল এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, চঙ্গ ও তার স্বজনরা হংকংয়ে চীনের কাছ থেকে হুমকি পেয়েছেন। জিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিমদের প্রতি বেইজিংয়ের আচরণ নিয়ে সমালোচনা করার পর এই হুমকি পান তিনি। যদিও সিএসআইএস এই হুমকির ব্যাপারে চঙ্গকে কিছু জানায়নি।