
এ সপ্তাহের পর সুদান থেকে কানাডিয়ানদের উদ্ধারের সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। যদিও কবে নাগাদ কানাডিয়ান উড়োজাহাজ লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করবে সেটা অস্পষ্ট।
গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের জরুরি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক উপমন্ত্রী জুলি সানযে বলেন, বর্তমানে আমাদের সুযোগ আছে। তারপরও এ সপ্তাহে বিস্তারিত পরিকল্পনা করা কঠিন। সুদানের প্রধান বিমানবন্দর খার্তুম থেকেই কেবল উদ্ধারকাজ করা সম্ভব। পোর্ট অব সুদানের উদ্দেশ্যে যাওয়া জাতিসংঘের একজন দূতকে ৪৫০ কিলোমিটারে ২২টি চেকপোস্ট পেরোতে হয়েছে। দেশব্যাপী যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ায় যাতায়াত খুবই ধীরগতির ও বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে।
কানাডিয়ান সশস্ত্র বাহিনী ও সরকারি কর্মকর্তারা বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্থিতিশীলতা আনছে। যদিও তা পুরোপুরি মানা হচ্ছে না। আবার এটি ৭২ ঘণ্টার বেশি বর্ধিত হওয়ারও কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
সামরিক বিমান ও জাহাজগুলোতে কানাডিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর ২০০ এর মতো সদস্য মোতায়েন রয়েছে। কিন্তু ১হাজার ৮০০ কানাডিয়ানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে এগুলো কোনো সহায়তা করেনি। তারা অন্য দেশের বিমানে করে সুদান ছেড়েছেন।
কানাডিয়ান জয়েন্ট অপারেশন্স কমান্ডের কমান্ডার ভাইস-অ্যাডমিরাল বব অক্টারলোনি বলেন, একটি উদ্ধার ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা থাকলেও বুধবার সেটি ভেস্তে গেছে। কারণ, সুদান বিমানটি তাদের দেশে অবতরনের কূটনৈতিক অনুমোদন দেয়নি।
অন্যান্য দেশের ফ্লাইটও বুধবার বাতিল হয়ে গেছে। কারণ, বিমানবন্দরের প্রধান রানওয়ে মেরামত জরুরি হয়ে পড়েছে।
অক্টারলোনি বলেন, আগামীতে আরও বেমি কানাডিয়ান ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিটি ফ্লাইটে ১০০ জন করে নাগরিককে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর। এগুলোর সবই পরিবর্তন হতে পারে অথবা স্থানীয় ও জাতীয় কর্তৃপক্ষ বাতিল করে দিতে পারে। কারণ, আজ এবং গত কয়েকদিনে আমরা এমনটা দেখে আসছি।
গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স জানিয়েছে, সুদানে অবস্থানরত এক হাজার ৮০০ কানাডিয়ান নাগরিক রেজিস্ট্রেশন অব কানাডিয়ান্স অ্যাব্রোড সার্ভিসে নাম লিখিয়েছেন। তবে সবাই যে সুদান ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন তেমন নয়।