টরন্টো তাদের নিজস্ব ব্যয় পরিকল্পনায় কোভিড-১৯ সংক্রান্ত যে ১০০ কোটি ডলার ঘাটতির হিসাব করেছে তা পূরণে ফেডারেল বাজেটে কোনো অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়নি। যদিও টরন্টোর প্রত্যাশা ছিল, ২০২২ সালের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত ঘাটতি পুষিয়ে নেতা অটোয়া ২৩ কোটি ৫০ কোটি ডলার দেবে। সেই সঙ্গে চলমান কোভিড-১৯ সংক্রান্ত ব্যয়ের কারণে ২০২৩ সালের বাজেটে সৃষ্ট ৯৩ কোটি ৩০ লাখ ডলারের ঘাটতি পূরণেও সহায়তা করবে ফেডারেল সরকার। যদিও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের উত্থাপন করা বাজেটে এ ধরনের কোনো প্রতিশ্রুতির উল্লেখ নেই।
গত সপ্তাহে ঘোষিত প্রাদেশিক বাজেটে টরন্টোর জন্য উল্লেখ করার মতো কোনো তহবিলের সংস্থান রাখা হয়নি। আবাসন ব্যয় বাবদ কেবলমাত্র ৪ কোটি ৮০ ডলার বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে।
ডেপুটি মেয়র জেনিফার ম্যাককেলভি এক বিবৃতিতে বলেছেন, পরিচালন বাজেটে সহায়তার জন্য সিটি অব টরন্টোর অনুরোধ ২০২৩ সালের ফেডারেল বাজেটে রাখা হয়নি। অতীতে কোভিড-১৯ চলাকালে কানাডার সরকার যে সহায়তা দিয়েছে সেজন্য আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু গত নির্বাচনের সময় সাবেক মেয়র জন টরি ও সিটি অব টরন্টোকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি টরন্টোর এমপি হওয়া সত্ত্বেও উপপ্রধানমন্ত্রী রাখতে না পারায় আমি হতাশ।
কোভিড-১৯ এর কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে মিউনিসিপালিটিগুলো যে ঘাটতিতে পড়েছিল তা পুষিয়ে দিতে তহবিল সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছিল ফেডারেল সরকার। ম্যাককেলভি বলেন, সোমবার আমি ফ্রিল্যান্ডের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তার স্পষ্ট জবাব কোভিড-১৯ এর কারণে চলমান ঘাটতি পূরণে কোনো ধরনের তহবিলের প্রতিশ্রুতি তার সরকার দেবে না।
ডেপুটি মেয়র বলেন, দেশের অর্থনৈতিক ইঞ্জিন হিসেবে টরন্টোর কী প্রয়োজন এবং নগরীকে সহায়তার গুরুত্বের বিষয়টি আমরা কানাডা সরকারের কাছে পরিষ্কার করে তুলে ধরেছি। এই মুহূর্তে আমার কাজ হচ্ছে টরন্টোর পক্ষে দাঁড়ানো। অন্য সরকারের কাছ থেকে আমাদের নগরী যাতে ন্যায্য হিস্যা পায় তা নিশ্চিত করতে লড়াই করতেও আপত্তি নেই আমার। সামনের সপ্তাহ ও মাসগুলোতে আমাদের দাবি অব্যাহত থাকবে।