
মুনাফার কারণে খাদ্য মূল্যস্ফীতি নয় বলে দাবি করেছেন কানাডার শীর্ষস্থানীয় প্রধান প্রধান গ্রোসারি চেইনগুলোর নেতাদের। তাদের দাবি, খাদ্য সংক্রান্ত তাদের মুনাফা এখনো কমই আছে।
লবল, মেট্রো ও এম্পায়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা বুধবার গ্রোসারি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে গবেষণা করা সংসদীয় কমিটির সামনে হাজির হন। অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড ও এনডিপি নেতা জাগমিত সিংয়ের মতো ফেডারেল নেতাদের দাবির মুখে তাদেরকে কমিটিতে ডাকা হয়। কী এমন বিষয় রেকর্ড সর্বোচ্চ মুনাফার পেছনে কাজ করছে সে ব্যাপারে স্বচ্ছতা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন এই ফেডারেল নেতারা।
এই তিন প্রধান নির্বাহীই সংসদ সদস্যদের সামনে বলেন, খাদ্যের উচ্চ মূল্যের জন্য গ্রোসারদের দায়ি করাটা হবে ভুল। তারা বলেন, খাদ্য মূল্যস্ফীতি বৈশি^ক সমস্যা। এম্পায়ারের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল মেডলাইন বলেন, কতবার আডনি এ নিয়ে বলছেন, লিখছেন বা টুইট করছেন তার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। এটা সঠিক নয়। সত্যি হলো আমাদের অনেক দীর্ঘ খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খল রয়েছে, যার প্রতিটি স্তরে অর্থনৈতিক কর্মকা- জড়িত।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে মুদিপণ্যের দাম এক বছর আগের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে প্রায় দ্বিগুন অর্থাৎ ৫ দশমিক ৯ শতাংশ হয়েছে। একই সময়ে কর্পোরেট মুনাফাও বেড়েছে এবং তিনটি গ্রোসারই ২০২২ সালের প্রথমার্ধে গত পাঁচ বছরের স্বাভাবিকের গড়ের তুলনায় বেশি মুনাফা করেছে।
২০২২ সালের প্রথমার্ধে লবলর মোট মুনাফা আগের সর্বোচ্চ মুনাফাকে ছাড়িয়ে ১৮ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ, প্রতিদিনই গড়ে ১০ লাখ ডলার করে বাড়তি মুনাফা যোগ হয়েছে তাদের ব্যালান্সশীটে।
লবলর প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিলিয়নেয়ার গ্যালেন ওয়েস্টন বলেন, কোম্পানি বেশি মুনাফা করেছে মূলত আর্থিক সেবা, পোশাক ও ওষুধপণ্য বিক্রি থেকে, যা তাদের মোট ব্যবসার অর্ধেকের বেশি। গ্রোসারিতে প্রতি ২৫ ডলারের বিপরীতে ১ ডলার মুনাফা করেছে কোম্পানি এবং খাবারের দাম বেড়েছে খাদ্যপণ্য থেকে মুনাফা মার্জিনের ২৫ গুণ বেশি। গ্রোসাররা খাদ্য মূল্যস্ফীতি বাড়াচ্ছে বলে ধারণা তৈরি হয়েছে তা কেবল ভুলই নয়, একইভাবে এটা অসম্ভবও।