
অন্টারিওর হোমকেয়ার কর্মীবাহিনীর স্থিতিশীলতার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন বলে জানিয়েছে তাদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন। প্রতিশ্রুত তহবিল যাতে দ্রুত সরবরাহ করা হয় সেজন্য প্রদেশের কাছে আর্জি জানিয়েছে তারা।
উন্নত হোমকেয়ারের জন্য আগামী তিন বছরে ১০০ কোটি ডলার ব্যয়ের কথা গত বছরের বাজেটে উল্লেখ করেছিল প্রদেশ। এই তহবিলের কিছু সংস্থাগুলোর কাছে গেছে। তারপরও হোমেকয়ার অন্টারিও বকেয়া ৮৮ লাখ ডলার দ্রুত ছাড় করতে প্রদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
হোমকেয়ার অন্টারিওর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সু ভেন্ডার বেন্ট বলেন, স্বাস্থ্যসেবাকে বাইরে নেওয়ার ব্যাপারে আমরা তেমন কিছু করতে পারছি না। হোমকেয়ার ও প্রাইমারি কেয়ার কর্মীরা লোকজনকে হাসপাতালের বাইরে রাখতে কাজ করছে হোমকেয়ার কানাডার সদস্য রয়েছে প্রায় ২৮ হাজার।
প্রদেশজুড়ে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় সংস্কারের কথা ভাবছে প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ডের সরকার। ফেডারেল সরকারের সঙ্গে নতুন স্বাস্থ্যসেবা চুক্তি নিয়ে প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড ও ভ্যান্ডার বেন্ট উভয়েই হতাশ। চুক্তিতে হোমকেয়ারের জন্য নতুন কোনো অর্থ রাখা হয়নি। ফোর্ড বলেন, হোমকেয়ারে যাতে আরও অর্থ দেওয়া হয় সেটা নিশ্চিত করতে অটোয়ার সঙ্গে তিনি আলোচনা চালিয়ে যাবেন।
ভ্যান্ডারবেন্ট অবশ্য প্রদেশের প্রস্তাবিত স্বাস্থ্যসেবার সংস্কারকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে তার আগেই হোমকেয়ার খাতে যাতে একটা স্থিতিশীলতা আসে সেটা চান তিনি। ভ্যান্ডারবেন্ট বলেন, আমরা যেটা বলতে চাইছে তা হলো বাড়ি নির্মাণের আগে চলুন ভিত্তিটা মমজুবত করি। সেই ভিত্তি হচ্ছে হোমকেয়ার।
হোমকেয়ার অন্টারিওর তথ্য অনুযায়ী, অন্টারিওতে প্রতি বছর প্রায় ৯ লাখ মানুষ হোমকেয়ার সেবা নিয়ে থাকেন। এর মধ্যে ৭ লাখ ৩০ হাজার মানুষ সেবাটি পান সরকারি অর্থায়নে।
ভ্যান্ডারবেন্ট বলেন, মহামারির সময় হোমকেয়ার খাত বিপুল সংখ্যক নার্স ও সাপোর্ট ওয়ার্কার হারিয়েছে। তাদের অনেকেই হোমকেয়ার ছেড়ে উচ্চ বেতনে হাসপাতাল এবং লং-টার্ম কেয়ার হোমে চাকরি নিয়েছেন।
হোমকেয়ার অন্টারিও প্রদেশকে দেওয়া তাদের প্রাক-বাজেট প্রতিবেদনে বলেছে, হোমকেয়ার খাতে নার্সের পদ শূন্য রয়েছে ১৭ শতাংশ। পার্সোনাল সাপোর্ট ওয়ার্কারের পদ খালি আছে ১২ শতাংশ। হোমকেয়ারে প্রবেশের শুরুতেই একজন নার্স হাসপাতালের একই পদের একজনের চেয়ে ১১ ডলার কম আয় করেন। অর্থাৎ, হাসপাতালে কর্মরত একজন নার্সের চেয়ে ঘণ্টায় ৪ দশমিক ৬১ ডলার কম আয় করেন একজন হোমকেয়ার নার্স।
মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, হোমকেয়ার সেবার ওপর নির্ভরশীল প্রায় ৭ লাখ পরিবারকে অতিরিক্ত এই ১০০ কোটি ডলারের তহবিল সহায়তা করবে।
এছাড়া কিছু হোমকেয়ার কর্মী খুচরা বিক্রয় প্রতিষ্ঠান ও খাদ্য পরিষেবা খাতেও চাকরি নিয়েছেন। হোমকেয়ার খাতের একজন সাপোর্ট ওয়ার্কার প্রতি ঘণ্টায় আয় করেন গড়ে ২০ দশমিক ৩০ ডলার। যেখানে অ্যামাজনের ওয়্যারহাউজে কর্মরত একজন কর্মী পান ঘণ্টায় ২০ দশমিক ৩৭ ডলার। এছাড়া কসকোর একজন ক্যাশিয়ার ঘণ্টায় আয় করেন ১৯ দশমিক ৮৭ ডলার। কম মজুরি সম্মুখসারীর কর্মীদের নিয়োগ ও ধরে রাখার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে জানান ভ্যান্ডার বেন্ট।