
তিন বছর আগে ঠিক এই দিনে (সোমবার) কোভিড-১৯কে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রস আধানম গেব্রেয়েসুস। এখন সেটি তুলে নেওয়া হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।
তবে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার অর্থ এই নয় যে, কোভিড-১৯ এখন আর কোনো হুমকি নয়। কোভিড-১৯ এর ব্যাপারে কানাডার মনোভাবেও খুব একটা পরিবর্তন আনবে না এই ঘোষণা।
কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তেরেসা ট্যাম সর্বশেষ কোভিড-১৯ হালনাগাদে বলেছেন, কানাডায় যা করার দরকার এরই মধ্যে আমরা তা করেছি। ডব্লিউএইচওর আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ। তাই বলে কোভিড-১৯ এর ওপর চোখ রাখা এবং জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত পদক্ষেপের অবসান হচ্ছে না। এই পদক্ষেপের মধ্যে আছে সংক্রমণের দিকে চোখ রাখা, বিশেষ করে গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যুর দিকে এবং ভ্যাকসিনেশন প্রচারণার ওপর।
২০২০ সালে গঠিত ডব্লিউএইচওর ইমার্জেন্সি কমিটি আনুষ্ঠানিক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা বলবৎ রাখা হবে কিনা সে ব্যাপারে ভোট দিয়েছে। কমিটির মতামতের ভিত্তিতে ট্রেড্রস এ ব্যাপারে চূড়ান্ত ঘোষণা দেবেন।
এর আগে ২৪ জানুয়ারি তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ভাইরাসের প্রভাব নিয়ে তিনি এখনো উদ্বিগ্ন। গত দুই মাসে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে বিশ^ব্যাপী ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অনেক দেশের পরিস্থিতি এবং মৃত্যু হার নিয়ে আমি খুব উদ্বিগ্ন। তিন বছর আগের তুলনায় আমরা ভালো অবস্থায় আছি সে কথা ঠিক। কিন্তু বৈশ্বিক সমন্বিত উদ্যোগ আরও একবার চাপের মুখে পড়েছে।
যথেষ্ট সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মী ও জ্যেষ্ঠ নাগরিক বুস্টার ডোজ না নেওয়ায়, অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের দুষ্প্রাপ্যতা এবং বিশ^ব্যাপী ভঙ্গুর স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন।
কানাডাতেও সংক্রমণ, হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যু জানুয়ারির শুরুর দিকে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছিল। তবে এখন তা কমতির দিকে। ট্যাম বলেন, কানাডার কোথাও সংক্রমণ বৃদ্ধির খবর নেই। যদিও ওমিক্রনের সর্বশেষ ভ্যারিয়েন্টের দিকে ঘনিষ্ঠ নজর রাখা হচ্ছে।
ফেডারেল সার্ভিল্যান্স ডাটা বলছে, এখনো প্রতিদিন গড়ে ৩০ জনের বেশি মানুষ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। এছাড়া শত শত মানুষ এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
আনুষ্ঠানিকভাবে বৈশি^ক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয় ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি। ওই কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৯৯ শতাংশই ছিল চীনে।