
আবাসন পরিকল্পনায় কিছু ডেভেলপারকে ছাড় দেওয়ার ফলে মিউনিসিপালিটিগুলোর যে রাজস্ব ঘাটতি হবে সিটি সরকারে দক্ষতা বাড়ানোর মধ্য দিয়ে তা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব বলে আবারও মন্তব্য করেছেন অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড। মিসিসোগা বোর্ড অব ট্রেডকে বুধবার এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আপনাদের যদি ঘাটতি তৈরি হয় তাহলে আমরা তা পূরণ করে দেবো। তারপরও চলুন আমরা সবাই একযোগে কাজ করি এবং এই আবাসন প্রকল্পগুলোর কাজ শুরু করি।
ফোর্ডের আবাসন পরিকল্পনায় ডেভেলপারদের মিউনিসিপাল ডেভেলপমেন্ট মাশুল কমানো হয়েছে অথবা পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে মিউনিসিপালিটিগুলোর কোষাগারে টান পড়বে বলে মনে করেন একাধিক মিউনিসিপালিটির কর্মীরা।
আবাসনমন্ত্রী স্টিভ ক্লার্ক ইঙ্গিত দিয়েছেন, মিউনিসিপালিটিগুলোর ঘাটতি পুষিয়ে নিতে সহায়ত্ াকরবে প্রদেশ। কিন্তু তারা কোনো অর্থ অপচয় করছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে তার আগে নিরীক্ষা করা হবে।
সমালোচকরা বলছেন, নগদ অর্থের সংকটে থাকা সিটিগুলোর কাছ থেকে অর্থ বের করে নিচ্ছে প্রদেশ, যা ব্যয় করা হবে আবাসন পরিকল্পনায়। এই পরিকল্পনা ডেভেলপারদের মাশুল অব্যাহতি দিচ্ছে।
ফোর্ড বুধবার বলেন, সব স্তরের সরকারেই অপচয় রয়েছে, আবাসন পরিকল্পনায় অর্থ ব্যয়ের জন্য যা বন্ধ করতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি টরন্টো সিটি কাউন্সিলর থাকাকালীন সময়ের কথা উল্লেখ করেন। ওই সময় টরন্টোর মেয়র ছিলেন তার ভাই রব ফোর্ড।
সেই সময়ের কথা স্মরণ করে ডগ ফোর্ড বলেন, আমার কাজের প্রথম দিনই সিটি ব্যবস্থাপক বলেছিলেন, আপনি ৭৭ কোটি ৪০ লাখ ডলারের চাপের মুখে রয়েছেন এবং সেটা আমি কোনোদিনই ভুলবো না। আপনাকে দক্ষতা বাড়াতে হবে অথবা কর ২০ মতাংশ বৃদ্ধি করতে হবে। কিন্তু আমরা কোনো করই বাড়ায়নি। ব্যবসায়ী হিসেবে আমি সবসময়ই বলে আসছি, সরকারের আয়ের কোনো সমস্যা নেই। সরকারের যা আছে তা হলো ব্যয় সমস্যা।
এটা সত্য যে, রব ফোর্ড তার সময়ে সিটির বিপুল অংকের অর্থ সাশ্রয় করেছিলেন। সিটি কর্মীরা পরবর্তীতে এটা বলেন যে, তার পূর্বসূরী ডেভিড ডেভিড মিলারও একইভাবে বড় অংকের অর্থ সাশ্রয় করেন।
মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে মিসিসোগার মেয়র বনি ক্রম্বি ঘাটতি পুষিয়ে নিতে কর বাড়ানোর কথা বললেও তার সমালোচনা করেন ডগ ফোর্ড। কিন্তু অন্য মিউনিসিপালিটিগুলোও প্রদেশের হাউজিং পরিকল্পনার ফলে খরচ পুষিয়ে নিতে কর বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছে।
আর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড বলেছেন, কবে নাগাদ মিউনিসিপালিটিগুলোর নিরীক্ষা শুরু হবে তা নির্ধারণে কাজ করছেন আবাসনমন্ত্রী স্টিভ ক্লার্ক।