
নোভা স্কশিয়ার একটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসকের জন্য সাত ঘণ্টা অপেক্ষা করার সময় গুন্টার হলথপের স্ত্রী ৩৭ বছর বয়সী অ্যালিসন হলথপ মারা যান। এখন তিনি প্রাদেশিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার জবাব চাইছেন।
হ্যালিফ্যাক্সের ১৪০ কিলোমিটার উত্তরে কাম্বারল্যান্ড রিজিয়নাল হেলথ কেয়ার সেন্টারের জরুরি কক্ষে নেওয়ার পর বড়দিনের আগে মারা যানা অ্যালিসন হলথপ। তিন সন্তানের মা হলথপ ভলান্টিয়ার ফায়ার ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি চিফ।
তার স্বামী গুন্টার হলথপ বলেন, দুর্ভাগ্যবশত তারা আমাদেরকে একটা পর্যায়ে অবহেলা করেছে। পেটে প্রচ- ব্যথার কারণে ৩১ ডিসেম্বর সকাল ১১টার দিকে আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। হাসপাতাল কর্মীদের প্রাথমিক মূল্যায়নের পর ইউনিটের ভেতরের কক্ষে নিয়ে যাওয়ার আগে জরুরি বিভাগে তাকে ছয় ঘণ্টার বেশি অপেক্ষা করতে হয়। চিকিৎসকের দেখা পেতে আরও এক ঘণ্টা চলে যায়। এরপর চিকিৎসক এসে ব্যথার চিকিৎসা দেন।
তিনি বলেন, অপেক্ষার এক পর্যায়ে তার স্ত্রীর ব্যথা অসহনীয় হয়ে ওঠে এবং হুইল চেয়ার ছেড়ে মেঝেতেই কম্বল বিছিয়ে শুয়ে পড়েন। তার স্ত্রীর অবস্থা খারাপ হওয়ার কথা কয়েকবার নার্সকে জানানো হয়। অপেক্ষমাণ আরও এক ব্যক্তি ওই নার্সের কাছে যান এবং সাহয্যের আর্জি জানান। আমি তাদেরকে বলি যে, তার অবস্থা ক্রশম খারাপ হচ্ছে। তারপরও তাদের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাইনি। আমাদের পক্ষে যা করার আমরা তা-ই করছিলমা এবং আমরা কোনো শয্যা পাইনি।
অলথপ বলেন, আমার স্ত্রী আমাকে বলেন যে, তার ব্যথা এতোটাই তীব্র ছিল যে, তার মনে হচ্ছিল সে মারা যাচ্ছে। অবশেষে একজন চিকিৎসক তাকে দেখে ব্যথার ওষুধ দেন। তাকে যখন এক্স-রের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছিল ঠিক সেই সময়র তার মাথার পেছন দিকে চোখ পড়ে আমার। এরপর আমেেক জানানো হয় যে, তাকে তিন দফা বাঁচিয়ে তোলা হয়েছে। মেডিকেল কর্মকর্তারা সম্ভাব্য অস্ত্রোপচারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এরপর তার অবস্থা এতোটাই খারাপ হয়ে যায় যে সাহায্যের আর কোনো উপায় ছিল না। ওই দিনই সন্ধ্যায় মারা যান তিনি।
তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এখনো তিনি জানেন না এবং প্রাদেশিক সরকারের কাছে এর উত্তর আমি চাই, যাতে করি আমার এবং জনগণের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর আস্থা থাকে। আমার স্ত্রীর ও সন্তানদের জীবনে এটা ছিল ভয়াবহ পরিস্থিতি। আরও কারো ক্ষেত্রে যাতে এমনটা না ঘটে সেটাই চাইবো আমি।