
একটি ফোন, একটি স্মার্ট হোম ও ডিজিটালি সংযুক্ত একটি কার। গৃহস্থালি নির্যাতনে এগুলো হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সহিংসতাবিরোধী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে গৃহ নির্যাতন বাড়ছেও।
বিসি সোসাইটি অব ট্রানজিশন হাউসেসের নির্বাহী পরিচালক অ্যামি ফিটজেরাল্ড বলেন, প্রযুক্তির অগ্রসরতায় যে পদ্ধতি সামনে এসেছে, তা হতে পারে স্মার্ট হোম অথবা স্মার্ট কার, এগুলো নজরদারির আরেকটি পদ্ধতিমাত্র। ভুক্তভোগীকে নানাভাবে হেনস্থার কাজে ব্যবহৃত হতে পারে এগুলো।
কানাডায় পার্টনারের প্রতি সহিংসতাকে বলা হচ্ছে ছায়া মহামারি। কোভিড-১৯ মহামারির সময় ভুক্তভোগীদের পক্ষে নিপীড়ক পার্টনারকে ছেড়ে যাওয়ার সুযোগ সীমিত হয়ে পড়ায় ওই সময় এ ঘটনা বেড়ে যায়।
১৯ অক্টোবর প্রকাশিত স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে পুলিশের খাতায় নথিভুক্ত পারিবারিক সহিংসতা টানা পঞ্চম বছরের মতো বেড়েছে। ওই বছর এ ধরনের নির্যাতনের ১ লাখ ২৭ হাজার ৮২টি ঘটনা পুলিশকে জানানো হয়। অর্থাৎ, প্রতি ১ লাখ মানুষে ৩৩৬ জন পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। গড়ে প্রতি ছয়দিনে একজন নারী ঘনিষ্ঠ পার্টনারের হাতে খুন হয়েছেন।
উইমেন’স শেল্টার কানাডার টেকনোলজি সেফটি প্রজেক্ট ম্যানেজার রিয়ানন অং বলেন, ঘনিষ্ঠ পার্টনারের সহিংতার ডিজিটাল ধরনও ২০২০ সাল থেকে বাড়তে শুরু করেছে। মহামারির সময় শারীরিক বিচ্ছিন্নতারকালে প্রযুক্তি প্রাত্যহিক জীবনের সঙ্গে খুব বেশি সম্পৃক্ত হয়ে পড়ায় এই প্রবণতা দেখা গেছে। নিপীড়করা প্রযুক্তিকে ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণ এবং নির্যাতন ও সহিংসতার পুরোনো আচরণের জন্য হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। নিপীড়করা তাদের পার্টনারের ওপর সবসময় নজরদারি করতে পারছে, ক্ষতিকর কন্টেন্ট অনলাইনে ছেড়ে দিচ্ছে এবং পার্টনারকে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তির মাধ্যমে হয়রানি অথবা হুমকি দিচ্ছে। আদালতে এটা শক্তিশালী সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। একই সাথে সহিংসতা অব্যাহত রাখার কাজেও ব্যবহৃত হতে পারে।
হোয়াইট হ্যাটারের প্রধান প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছন ভিক্টোরিয়ার অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সার্জেন্ট ড্যারেন লাউর। তিনি বলেন, এক নারীকে তার সাবেক পার্টনার দূর থেকে তার স্মার্টহোমের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য কোম্পানি তাকে সহায়তা করেছে।