
কানাডায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি নভেম্বরে আবার বেড়েছে। এই সময়ে মৌলিক পণ্য বিশেষ করে রুটি, ডিম ও দুগ্ধজাত পণ্যের দাম বেড়ে গেছে।
স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার তথ্য অনুযায়ী, স্টোর থেকে খাদ্য ক্রয়ে ব্যয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় নভেম্বরে ১১ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে অক্টোবরের তুলনায় বেড়েছে ১১ শতাংশ।
এ নিয়ে খাদ্যের দাম সার্বিক মূল্যস্ফীতির তুলনায় টানা ১২তম মাসের মতো বেশি বাড়লো। নভেম্বরে দেশের বার্ষিক মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে ৬ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে এসেছে।
নভেম্বরে কফি ও চায়ের দাম আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে বাটারের দাম বেড়েছে ২৩ দশমিক ১ শতাংশ, ডিমের ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ এবং রুটি, রোল ও বানের দাম বেড়েছে ১৮ দশমিক ২ শতাংশ।
অন্যান্য পণ্যের মধ্যে চিনি ও শরবতের দাম বছরভিত্তিক ১৮ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া পাস্তার দাম বেড়েছে ১৭ দশমিক ১ শতাংম, লেটুসের ৩১ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ময়দা ও ময়দাভিত্তিক পণ্যের ২০ দশমিক ৫ শতাংশ।
ডালহৌসি ইউনিভার্সিটির ফুড ডিস্ট্রিবিউশন অ্যান্ড পলিসির অধ্যাপক সিলভেইন শার্লেবোয়িস বলেন, খাদ্যের দাম বৈশি^কভাবে বাড়ছে। ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশে গত মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কানাডার চেয়েও বেশি ছিল। এখনো কানাডার অধিকাংশ খাদ্য দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে। তবে উচ্চ মজুরি, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি ও জ¦ালানি খরচ বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এখানে খাদ্যের দাম বাড়ছে। ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির ব্যাপারে অনেকগুলো আলোচনা হয়েছে, যা পণ্য উৎপাদনের ওপর চাপ তৈরি করছে। একটা উদাহরণ হলো প্যাকেজিং, কোম্পানিগুলো যা ব্যবহার করে।
প্যাকেজিং বিশেষ করে ডিমের মোড়কের দাম আমরা অস্বাভাবিক বেড়ে যেতে দেখছি। কিছুদিন আগ পর্যন্তও কানাডায় খাদ্যের দামে স্থিতিশীলতা ছিল। আরও চার থেকে চয় মাস পর্যন্ত আমাদের এই অবস্থার মধ্যে থাকতে হবে। বসন্তে খাদ্যের দাম কমে আসবে বলে আমরা আশা করছি।