
কোনো পরিস্থিতি কম নিরাপদ মনে হলে সেক্ষেত্রে বাসিন্দাদের মাস্ক পরিধানে উদ্বুদ্ধ করছেন অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড। তবে প্রদেশে বাধ্যতামূলক পরিধান ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে হঠাৎ থেমে যান তিনি।
ডগ ফোর্ড বলেন, প্রথম দিন থেকেই আমরা বলে আসছি যেখানে পারেন এবং ঝুঁকি মনে হলো মাস্ক পরিধান করুন। সব সময়ই আমি ডা. মুরের পরামর্শ মেনে চলবো এবং সবাইকে তিনি যে উপদেশ দিচ্ছেন, একই উপদেশ আমি তাদেরকেও দেবো।
৯ নভেম্বর সকালে ব্র্যাডফোর্ডের কাছে নতুন মহাসড়ক নির্মাণের ঘোষণা দেওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব মন্তব্য করেন ডগ ফোর্ড। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান নীতি ফিরিয়ে আনার কোনো পরিকল্পনা প্রদেশ করছে কিনা প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকরা।
স্কুলে মাস্ক পরিধান ফিরিয়ে আানা হবে কিনা সে ব্যাপারে কিছু বলতে পারেননি ডগ ফোর্ড। তবে অন্টারিওর চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. কিয়েরান মুরের সাম্প্রতিক উপদেশ পুনর্ব্যক্ত করেন এবং জনগণকে ফ্লু ভ্যাকসিন ও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ গ্রহণে উৎসাহিত করেন। জনগণের উদ্দেশ্যে ফোর্ড বলেন, ফুøু ভ্যাকসিন ও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ নিন। আমি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের চতুর্থ ডোজ নিতে যাচ্ছি। একইসঙ্গে ফ্লুর ভ্যাকসিনও নিতে যাচ্ছি। কারণ, আমার মতো বুড়োদের এ ছাড়া উপায় নেই। আমরা ভ্যাকসিন নিতে যাচ্ছি কেবলমাত্র সুস্থ্য থাকার জন্য।
স্কুল শুরু হওয়ায় ও শীতে লোকজনের বাইরে বেরোনো বেড়ে যাওয়া শ্বাসতন্ত্রের অসুস্থতা বৃদ্ধির ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এর পরিপ্রেক্ষিতেই স্কুলে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান ফেরানো হচ্ছে কিনা সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
সম্প্রতি টরন্টোর বোর্ড অব হেলথের এক বৈঠকে মেডিকেল অফিসার এইলিন দ্য ভিলা বলেন, মাস্ক পরিধানের ব্যাপারে সিটি প্রাদেশিক নীতিমালা অনুসরণ অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু পরিস্থিতি বদলালে স্কুলে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান নীতি বাস্তবায়নের ব্যাপারে তারা প্রস্তুত রয়েছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগগুলোতে রোগীদের চাপ বেড়ে যাওয়ার আলোকে কিছু স্থানে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করার দাবি জানিয়েছেন কিছু বিশেষজ্ঞ। প্রদেশের কিছু স্থানে মাস্ক পরিধান এখনো বাধ্যতামূলক। সপ্তাহখানেক আগে সিপি২৪কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডা. কিয়েরান মুর বলেন, প্রদেশ কঠিন হেমন্ত ও শীতের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে এবং অসুস্থতার উপাত্তের প্রতি ঘনিষ্ঠ নজর রাখা হচ্ছে।