
কানাডিয়ানরা শিগগিরই তাদের ওয়ালেটে জাতীয় সংগীতের ইতিহাস সম্বলিত কয়েন বহনের সুযোগ পেতে যাচ্ছেন। কিংবদন্তী জ্যাজ পিয়ানিস্ট ওস্কার পিটারসনের স্মরণে একটি মুদ্রা প্রকাশ করেছে দেশটি। রয়্যাল কানাডিয়ান মিন্ট মন্ট্রিওয়লের প্রয়াত এই শিল্পীকে সম্মান জানাতে বৃহস্পতিবার এক ডলারের মুদ্রা উন্মোচন করেছে।
মিন্টের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেরি লিমে বলেন, কয়েনে মুদ্রিত প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ কানাডিয়ান এবং প্রথম সংগীতজ্ঞ হচ্ছেন পিটারসন। পিটারসনের মুখচ্ছবি অঙ্কিত ৩০ লাখ ধাতব মুদ্রা উন্মোচন করছে মিন্ট। পিটারসনকে বলা হয়ে থাকে চার হাতবিশিষ্ট মানুষ। ১৫ আগস্ট এই কয়েন বিতরণ শুরু হয়। ঘটনাক্রমে দিনটি পিটারসনের জন্মদিন।
পিটারসনের স্ত্রী কেলি পিটারসন বলেন, ১৯৬২ সালে তৈরি তার শেষ নোট ‘হাইম টু ফ্রিডম’ও মুদ্রায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নোটটিকে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সংগীত হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
টরন্টোতে স্মারক মুদ্রা উন্মোচন অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড বলেন, এই সংগীতজ্ঞের প্রতিভা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার পরও তিনি যে একজন কানাডিয়ান তা থেকে বিস্মৃত হননি। আমি এটা জেনে খুশী যে, অস্কার পিটারসনের গল্প কানাডার প্রতিটি কোণায় ৩০ লাখবার পৌঁছে যাবে। তার গল্পটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, তিনি ছিলেন উদার ও খুবই প্রতিভাবান সংগীতজ্ঞ। তিনি আরও গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে, কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে এই সাফল্য তিনি পেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ পরিবেশনার মাধ্যমে পিটারসনের প্রতি সম্মান জানান পিয়ানিস্ট ও কম্পোজার থম্পসন এগবো-এগবো।
১৯২৫ সালে মন্ট্রিয়লে জন্ম নেওয়া পিটারসন তার সময়ে বিশে^ সামনের সারির একজন জ্যাজ পিয়ানিস্টের স্বীকৃতি অর্জন করেন। ৬০ বছরের পেজাজীবনে তিনি অসংখ্য জুনো ও গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছেন। ২০০৭ সালে ৮২ বছর বয়সে কিডনি জটিলতায় মারা যান তিনি।