ফেডারেল পাবলিক সার্ভিস ইউনিয়ন কর্মীদের অফিসে ফেরানোর ব্যাপারে সরকারের পরিকল্পনাকে বিভ্রান্তিমূলক বলে উল্লেখ করেছে। এর ফলে কর্মীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা হুমকিতে পড়বে বলে দাবি তাদের।
হাইব্রিড কর্মক্ষেত্র সংক্রান্ত নীতিমালা গত মে মাসে প্রকাশ করে ট্রেজারি বোর্ড অব কানাডা। বোর্ডের তরফ থেকে কর্মক্ষেত্রের অবস্থান শিথিল করা হবে কিনা, করা হলে কী মাত্রায় করা হবে এবং কীভাবে করা হবে সে সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব সরকারের বিভাগগুলোর ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়।
ট্রেজারি বোর্ডের মুখপাত্র বার্ব কুপেরাস বলেন, স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে প্রতিষ্ঠান কীভাবে পরিচালিত হয় তার আলোকে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন উপপ্রধান। আগামী কয়েক সপ্তাহ বিভাগগুলো সাক্ষ্য-প্রমাণ জোগাড় করে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। ফেডারেল সরকারের কর্মীবাহিনী ও কার্যক্রম পরিচালনার যে বৈচিত্র তাতে বলা যায়, যেকোনো একটি সমাধান সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
প্রফেশনাল ইনস্টিটিউট অব দ্য পাবলিক সার্ভিস অব কানাডার প্রেসিডেন্ট জেনিফরা কার বলেন, কীভাবে কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে ফিরিয়ে আনা হবে সে সিদ্ধান্ত নিজ নিজ বিভাগের ওপর ছেড়ে দেওয়ার অর্থ হলো এটি সমন্বিত নয়। কর্মীদের সঠিকভাবে কর্মক্ষেত্রে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সদস্যদের নির্দেশনা দেওয়াটা ইউনিয়নের পক্ষে কঠিন। এর ৬০ হাজার সদস্যের মধ্যে অনেকেই আছেন বিজ্ঞানী, যারা মহামারির শুরু থেকে সামনের সারিতে কাজ করছেন।
কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তার ওপরও জোর দেন কার। এর অর্থ হলো সঠিক ভেন্টিলেশনের হার ও ধারণক্ষমতা এবং মাস্কিং নীতি নিশ্চিত করা। গত মাসের গোড়ার দিকে কানাডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব প্রফেশনাল এমপ্লয়িজ কর্মীদের অফিসে ফেরানোর সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছিল। স্বাস্থ্য ও সরক্ষার ব্যাপারে অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকির কথা ভেবে এই দাবি তুলেছিল তারা। অপ্রয়োজনীয় কারণে সংক্রমণ বেড়ে গেলে হাসপাতালগুলো তা সামাল দিতে পারবে না বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল তারা।
সংগঠনের প্রেসিডেন্ট গ্রেগ ফিলিপস এক সাক্ষাৎকারে বলেন, হাইব্রিড সেশন শুরু ও কর্মক্ষেত্রে ফেরা কেন জরুরি সদস্যদের কাছে সে ব্যাপারে কোনো যুক্তি তুলে ধরা হয়নি। আমাদের সঙ্গে পেশাদারসূলভ আচরণ করুন। আমাদেরকে যুক্তি দেখান। কেন এটা জরুরি সে ব্যাখ্যা আমাদেরকে দেন। তারপরও আমরা আমাদের সমর্থন দেবো।
অ্যাসোসিয়েশনে ফেডারেল কর্মী আছেন ২০ হাজারের বেশি। অনুবাদ সেবা ও পার্লামেন্টের লাইব্রেরির সেবাদাতা এবং আরসিএমপির সদস্য এর মধ্যে অন্যতম।