আবাসন বাজারের দুর্বলতা অব্যাহত থাকায় টরন্টোতে বাড়ি ভাড়া বাড়ছেই। টরন্টো রিজিয়ন রিয়েল এস্টেট বোর্ডের নতুন উপাত্ত অনুযায়ী, ২০২২ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে টরন্টোতে দুই শয়নকক্ষের কন্ডোমিনিয়াম ইউনিটের ভাড়া রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। মহামারির শুরুর দিকে বাড়ি ভাড়া ছিল রেকর্ড নিম্ন।
এক শয়নকক্ষের ইউনিটের ভাড়া ২০ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে মাসিক ২ হাজার ২৬৯ ডলারে পৌঁছেছে। এছাড়া দুই শয়নকক্ষের ইউনিটের ভাড়া ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে মাসিক ২ হাজার ৯৭৯ ডলার। ব্যাচেলরদের জন্য ছোট ইউনিটের ভাড়া ২৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৮২৯ ডলার। তবে ২০১৯ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে যে উচ্চতায় পৌঁছেছিল তা এখনও স্পর্শ করেনি।
টরন্টো রিজিয়ন রিয়েল এস্টেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট কেভিন ক্রিগার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, সামনের মাসগুলোতে ভাড়া বাজার আরও আটোসাঁটো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঋণের উচ্চ ব্যয় কিছু পরিবারকে সাময়িকভাবে বাড়ি ক্রয় থেকে বিরত রাখবে। কিন্তু আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জিটিএর জনসংখ্যা বৃদ্ধিও অব্যাহত থাকবে। এর অর্থ হচ্ছে বর্ধিত জনসংখ্যার জন্য আবাসনের প্রয়োজন হবে, যার প্রভাব পড়বে ভাড়া বাজারের ওপর।
জিটিএতে বাড়ির গড় মূল্য টানা চতুর্থ মাসের মতো কমেছে। একটি ব্যাংক তো ঐতিহাসিক মূল্য সংশোধনের পূর্বাভাস দিয়েছে। তাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শেষ পর্যন্ত বাড়ির মূল্য ১৪ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। তবে আবাসন বাজারের তেজিভাব কমার কোনো ইঙ্গি দেখা যাচ্ছে না।
টরন্টো রিজিয়ন রিয়েল এস্টেট বোর্ডের সাম্প্রতিক উপাত্ত বলছে, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বাড়ির তালিকাভুক্তি এক বছর আগের একই সময়ের তুলনায় ৩০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
এর ফলে কিছু ইউনিটের জন্য প্রতিযোগিতা তীব্র হয়েছে।
জিটিএতে বাড়ি খালি থাকার হারও রেকর্ড সর্বনিম্ন রয়েছে। টরন্টোতে ১ দশমিক ৯ শতাংশের মতো অ্যাপার্টমেন্ট খালি আছে। জিটিএর অন্য কমিউনিটিগুলোতে বাড়ি খালি থাকার হার দশমিক ৩ থেকে দশমিক ৯ শতাংশের মধ্যে রয়েছে।
টরন্টো রিজিয়ন রিয়েল এস্টেট বোর্ড বলছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে কন্ডোমিনিয়ামের গড় বিক্রয় মূল্য দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৯৯৯ ডলার। ২০২১ সালের একই প্রান্তিকে একই কন্ডোমিনিয়ামের গড় দাম যেখানে ১২ শতাংশ বেশি ছিল।
ব্যাংক অব কানাডার আগ্রাসীভাবে সুদের হার বৃদ্ধির ফলে মূল্যবৃদ্ধির গতি শ্লথ হয়ে এসেছে। প্রথম প্রান্তিকে বাড়ির গড় মূল্য এক বছর আগের একই সময়ের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেশি ছিল।