কানাডিয়ান যাতে সহজেই খুঁজে পাওয়া যায় সেজন্য ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফরমকে অ্যালগোরিদমে পরিবর্তন আনতে বলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন কানাডিয়ান রেডিও-টেলিভিশন অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন্স কমিশনের চেয়ারম্যান ইয়ান স্কট। প্রস্তাবিত অনলাইন স্ট্রিমিং বিলের আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।
সেনেট কমিটির সামনে ইয়ান স্কট বলেন, যদিও কানাডিয়ান রেডিও-টেলিভিশন অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন্স কমিশন নিজ থেকে অ্যালগোরিদমে পরিবর্তন আনবে না। তাই প্ল্যাটফরমকেই পরিবর্তন আনতে বলতে পারে। সুনির্দিষ্ট ফলাফলের জন্য আমি আপনাদের অ্যালগোরিদমে পরিবর্তন আনতে বলতে চাই।
অনলাইন স্ট্রিমিং বিল নিয়ে সমালোচকদের মনোযোগ আকৃষ্ট করেছে তার এই মন্তব্য এবং বলেছেন, কিষের বিরুদ্ধে তারা সতর্ক করে আসছিলেন এই মন্তব্যে তা নিশ্চিত হয়ে গেছে। ওপেনমিডিয়ার ম্যাথিউ হ্যাটফিল্ড বলেন, আমরা এতোদিন যা বলে আসছি স্কটের মন্তব্যের মধ্য দিয়ে তা নিশ্চিত হয়ে গেছে।
ইন্টারনেটকে উন্মুক্ত রাখার পক্ষে ওপেনমিডিয়া। মূলত এটা ব্যক্তি পর্যায়ের তহবিলে পরিচালিত হলেও এতে গুগলের তহবিলও আছে। গুগলেরই প্যারেন্ট কোম্পানি অ্যালফাবেট ইউটিউবেরও মূল প্রতিষ্ঠান।
ডিজিটাল প্ল্যাটফরমগুলোকে সরকার কানাডিয়ান কন্টেন্টকে তুলে ধরতে বাধ্য করলে ইনফ্লুয়েন্সার ও স্ট্রিমারসহ কানাডিয়ান ডিজিটাল ক্রিয়েটররা রাজস্ব হারাবেন। কারণ, অ্যালগোরিদম হচ্ছে সমগ্র বিশে^র জন্য এবং কানাডায় পছন্দের নয় এমন কোনো কানাডিয়ান গান যদি কানাডার ইউটিউব শ্রোতাদের সামনে তুলে ধরা হয় তাহলে এই ধারণা তৈরি হতে পারে যে গানটা জনপ্রিয় নয়। তাতে যেটা হবে তা হলো বিশ^ব্যাপীই এর জনপ্রিয়তা হ্রাস পাবে।