সারাদেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষগুলো সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও জরুরি ক্লিনিকের সো প্রদানের সময় কমিয়েছে। রোগী বৃদ্ধি ও কর্মী সংকটের কারণে গ্রীষ্ম পর্যন্ত এটি চলতে পারে।
চিকিৎসকরা বলছেন, প্রাপ্ত বয়স্ক ও শিশুদের মধ্যে ভাইরাল বিশেষ করে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ফিরে আসার সঙ্গে সম্পর্কিত পদক্ষেপটি। মহামারির কারণে শিশুসেবা প্রত্যাশীদের চাপও এজন্য দায়ী। তবে উচ্চ সংখ্যায় স্বাস্থ্য কর্মীর অসুস্থ্যতা পরিস্থিতি খারাপ করে তুলেছে।
পরিস্থিতি এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে, ক্লিনিকের অপেক্ষমাণ কক্ষগুলো রোগীতে ঠাসা, ইনপেশেন্টদের দীর্ঘ সারি এবং শিশু
হাসপাতালগুলোতে অকুপেন্সি হার ১০০ শতাংশের বেশি। সরকারি অর্থায়নের স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থার পদ্ধতিগত সমস্যার বিষয়টিও এক্ষেত্রে সামনে চলে এসেছে।
পূর্ব অন্টারিওর পার্থ ও স্মিথস ফলস ডিস্ট্রিক্ট হসপিটাল বৃহস্পতিবার ঘোষণা দিয়েছে, কোভিড-১৯ এর কারণে কর্মীরা আক্রান্ত হওয়ায় পার্থের জরুরি বিভাগ শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। পার্থের পারিবারিক ও জরুরি চিকিৎসক অ্যালান ড্রামন্ড বলেন, পরিস্থিতি এমন যে অ্যাপোক্যালিপসের চার ঘোড়সওয়ারও মনে হয় আমাদের ওপর চেপে বসেছে। শহরটিতে ৬ হাজার মানুষের বাস।
বন্ধ ঘোষণার আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলেন অ্যালান। তিনি বলেন, ভর্তি হতে রোগীদের ২০ ঘণ্টা পর্যন্তও অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতি তাদের অবস্থাকে খারাপ করে তুলছে। এমনকি চিকিৎসায় ভুল হওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে। হাসপাতাল শয্যা ও কমিউনিটি সেবায় বছরের পর বছর ধরে অপর্যাপ্ত তহবিলকেই এর কারণ বলে মনে করেন তিনি।
ছোট শহর ও নগরীগুলোর হাসপাতাল তাদের সেবার সময়কাল কমিয়ে আনলেও আঞ্চলিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর পক্ষে তা করা সম্ভব নয়।
কানাডার সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ অন্টারিওতে ঠিক কত সংখ্যক হাসপাতালে আংশিক বা সাময়িক বন্ধ ঘোষণার প্রভাব পড়েছে প্রদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তা জানানো হয়নি। তবে বিষয়টি মীমাংসায় পদক্ষেপ নেওয়ার কথঅ জানিয়েছে তারা। নার্স ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের ধরে রাখঅ এর মধ্যে অন্যতম।
মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, হাসপাতালের বাকি কাজ যাতে অব্যাহত থাকে সেজন্য জরুরি বিভাগ সাময়িক বন্ধ রাখার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত কখনও কখনও নিতে হয়।
কানাডার দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রদেশ কুইবেক, নিউফাউন্ডল্যান্ড ও ম্যানিটোবাও কিছু বিভাগ কয়েক সপ্তাহ বা মাসের জন্য সাময়িক বন্ধ রেখেছে। অন্টারিওর কিংস্টনে হোটেল ডিয়েউ হসপিটাল তাদের জরুরি সেবা ক্লিনিকের সেবা দেওয়ার সময় কানাডা ডের সপ্তাহে কমিয়ে আনে।