
কোভিড-১৯ মহামারির গ্রীষ্মকালীন ঢেউয়ে প্রবেশ করেছে অন্টারিও। হাসপাতালে রোগী ভর্তি ও ওয়েস্টওয়াটার ডেটা উভয়ই এখন উর্ধ্বমুখী।
টরন্টোর সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আইজ্যাক বোগোশ সিটিভি নিউজ টরন্টোকে বলেন, আমরা গ্রীষ্মকালীন ঢেউয়ে ঢুকে পড়েছি। এটাই বাস্তব। এর ব্যাপকতা কতখানি হতে যাচ্ছে আমার জানা নেই। কিন্তু ঢেউটা সত্যি।
কোভিড-১৯ ওয়েস্টওয়াটার ডেটাকে কেন্দ্রীয় নির্দেশক হিসেবে ইঙ্গিত করেন বোগোশ। জুনজুড়েই এই ডেটা ছিল উর্ধ্বমুখী। ওয়েসওয়াটারের পাশাপাশি কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির দিকেও ইঙ্গিত করেন তিনি। পরীক্ষা সীমিত হলেও সাতদিনে প্রদেশে গড়ে নতুন রোগীর যে সংখ্যা তা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩৪ শতাংশ বেশি।
বোগোশ বলেন, এটা খুবই নির্ভরযোগ্য নির্দেশক। যদিও আমরা ব্যাপক পরিসরে পরীক্ষা করছি না। অন্তত ধারাবাহিকভাবে পরীক্ষা আমরা করছি। হাসপাতালে রোগী ভর্তিও উর্ধ্বমুখী।
সরকারের সাম্প্রতিক উপাত্ত বলছে, কোভিড সনাক্ত হওয়ার পর ৫৮৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আগের সপ্তাহের এ সংখ্যা ছিল যেখানে ৪৮৬।
তিনি বলেন, বিএ.৫ সাব-ভ্যারিয়েন্টের কারণেই মূলত সংক্রমণের এই উর্ধ্বমুখিতা। কানাডার অধিকাংশ অংশে এটাই এখন আধিপত্যকারী ভ্যারিয়েন্ট এবং আমরা সেটা জানি। ভ্যাকসিন বা সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার ফলে আমাদের মধ্যে যে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় তা ভেঙে দেওয়ার সামর্থ ভ্যারিয়েন্টটির রয়েছে।
মিসিসোগার সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সুমন চক্রবর্তী বলেন, বিএ.৫ ভ্যারিয়েন্ট অবস্থান শক্ত করায় আরেকটি ঢেউ যে আসছে তা বলা যায়। গ্রীষ্মে এই ঢেউ মোকাবেলা করার জন্য ভালো অবস্থায় রয়েছে স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা। তবে এবারের ঢেউ ডিসেম্বরের মতো হবে না। আমাদের শুধু রেসপিরেটরি ভাই্রাসের প্রকৃতি সম্বন্ধে জানতে হবে, বিশেষ করে যখন তা অধিক মাত্রায় সংক্রামক ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা াঁকি দিতে পারে। এই ঢেউয়ের ধরনটা ভিন্ন হতে যাচ্ছে এবং আগেরগুলোর মতো অতোটা তীব্র নয়।
সোমবার বিকালে সিপি২৪ এর সঙ্গে আলাপকালে অন্টারিওর কোভিড-১৯ সায়েন্স অ্যাডভাইজরি টেবিলের বৈজ্ঞানিক পরিচালক ডা. ফাহাদ রাজাক অন্টারিও যে মহামারির আরেকটি ঢেউয়ে প্রবেশ করেছে তা নিশ্চিত করেননি। শুধু বলেন, ভাইরাসটি যে ভয়ঙ্কর সেটা প্রমাণিত। এটা এতোটাই মিউটেট হয়েছে যে, এখন ধরনটির বিস্তার ঘটছে তা মূল ধরনের সঙ্গে প্রায় তুলনাহীন। আগামীতে কী ঘটতে যাচ্ছে তা সত্যিই অস্পষ্ট।