
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বৃহস্পতিবার খাদ্য সহায়তা হিসেবে ২৫ কোটি ডলারের ঘোষণা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে বিপুল সংখ্যক মানুষের অভুক্ত থাকার যে হুমকি দেখা দিয়েছে তার দায় রাশিয়ার ওপর চাপিয়েছেন তিনি।
কমনওয়েলথভুক্ত সরকার প্রধানদের বৈঠকে অংশ নিতে রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে যান জাস্টিন ট্রুডো। সেখানে তিনি ইউক্রেনের পক্ষে সমর্থন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।
জ্বালানি ও খাদ্যের আকাশচুম্বি দামের জন্য রাশিয়াকে দোষারোপ করেন জাস্টিন ট্রুডো, যা আফ্রিকা ও বিশে^র অন্যান্য প্রান্তের লাখ লাখ মানুষকে ক্ষুধার মুখে ঠেলে দিয়েছে।
ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত ৫৪টি স্বাধীন দেশ নিয়ে কমনওয়েলথ গঠিত। এই দেশগুলোতে বাস করে ২৫০ কোটি মানুষ। এখানে বিশে^র সবচেয়ে ধণী কয়েকটি দেশ যেমন আছে, একইভাবে আছে সবচেয়ে দরিদ্র কিছু দেশও।
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘে গত মার্চে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটি থেকে বিরত থেকেছে কমনওয়েলথভুক্ত ১০টি দেশ। ট্রুডো বলেন, বর্তমানে আমরা বৈশি^ক যে খাদ্য সংকটের মোকাবেলা করছি তার জন্য দায়ী রাশিয়া। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অবৈধ অভিযান, ইউক্রেনের শস্যাগারে বোমাবর্ষণ, রাশিয়ার জাহাজ দিয়ে ওডেসা বন্দরে অবরোধ সৃষ্টি করা এর অন্যতম কারণ।
খাদ্য সহায়তা বাবদ জাস্টিন ট্রুডো যে অর্থের ঘোষণা দিয়েছেন তার মধ্যে জাতিসংঘের বিশ^ খাদ্য কর্মসূচির জন্য অর্থায়নও অন্তর্ভুক্ত। উন্নয়নশীল দেশগুলোর খাদ্য নিরাপত্তা নিরসন চেষ্টা হিসেবে জানুয়ারি থেকে কানাডার দেওয়া ৫০ কোটি ডলারের অতিরিক্ত হিসেবে এ অর্থ দেওয়া হবে।
প্রথম কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাস্টিন ট্রুডো বৃহস্পতিবার কিগালি জেনোসাইড মেমোরিয়াল পরিদর্শন করেন। ৮ লাখ রুয়ান্ডাবাসীর মধ্যে আড়াই লাখের শেষ গন্তব্য হচ্ছে এটি। এদের মধ্যে তুতসি যেমন আছে, একইভাবে আছে হুতি জনগোষ্ঠীও।
জাস্টিন ট্রুডো কিগালিতে পৌঁছান বুধবার। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে বরণ করার অনুষ্ঠান শুরু হয় শুক্রবার। বৈঠকে আরও যেসব সরকার প্রধান অংশ নেন তাদের মধ্যে আছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা অ্যাডার্ন ও অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ।