
অ্যাফোর্ডেবিলিটিতে পৌঁছাতে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫ লাখ বাড়ি নির্মাণের প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছে কানাডা মর্টগেজ অ্যান্ড হাউজি করপোরেশন (সিএমএইচসি)। আবাসন সরবরাহ ঘাটতি পূরণের বিভিন্ন পদ্ধতি এবং একই সময়ে চাহিদা বৃদ্ধি ও অ্যাফোর্ডেবিলিটি নিয়ে উদ্বেগের ব্যাখ্যা করে বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরবরাহ বাড়ানো কঠিন হবে। সরবরাহ বাড়াতে সময় লাগবে। কারণ, বাড়ি নির্মাণ সময়সাপেক্ষ। সেই সঙ্গে সরকারি অনুমোদন প্রক্রিয়াও সময়সাপেক্ষ। এই বিলম্বের অর্থ হলো ২০৩০ সালের মধ্যে অ্যাফোর্ডেবিলিটি অর্জনে আজ থেকেই কাজ শুরু করতে হবে আমাদের।
সিএমএইচসি বলছে, বর্তমান হারে নতুন বাড়ি নির্মাণ অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সাল নাগাদ বাড়ির সরবরাহ ২৩ লাখ ইউনিট বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে করে মোট ইউনিটের সংখ্যা দাঁড়াবে ১ কোটি ৯০ লাখ। কিন্তু সব কানাডিয়ানের জন্য বাড়ির নিশ্চয়তা দিতে ২০২০ সাল নাগাদ বাড়তি বাড়ির প্রয়োজন হবে ৩৫ লাখ। আবাসন বাজারের নিস্তেজতা এবং নির্মাণ খাতে শ্রমিক সংকটের কারণে ২০৩০ সাল নাগাদ কানাডায় বাড়ির মজুদ মজুদ ২ কোটি ২০ লাখ ইউনিটে দাড়াতে পারে।
সিএমএইচসির ডেপুটি চিফ ইকোনমিস্ট আলেড অ্যাব লরওয়ার্থ বলেন, সরবরাহের ইস্যু তো আছেই, একইসঙ্গে আছে এই মুহূর্র্তে শ্রমিক সংকটও। অর্থায়নের খরচও বাড়ছে। সব মিলিয়ে এটা পরিস্কার যে সামনে স্বল্প মেয়াদী চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।
সিএমএইচসি যা বলছে তা অর্জন করা কঠিন হবে বলে মনে করছেন বিএমওর অর্থনীতিবিদ রবার্ট কাভচিচ। তিনি বলেন, নির্মাণ খাতে বেকারত্বের হার রেকর্ড নি¤েœ পৌঁছেছে। এ খাতের কাজ করছে রেকর্ড সংখ্যক কর্মী। আমাদের দক্ষ কর্মীর ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে এবং নির্মাণ উপকরণের দাম এরই মধ্যে ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। এই অবস্থায় অর্থনীতি ঠিকমতো কাজ না করলে এবং নতুন বাড়ি নির্মাণের হার দ্বিগুন না করলে আগামী দশক সত্যিই কঠিন হবে।
২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকে নির্মাণ খাতে কর্ম খালি ছিল ৮১ হাজার ৫০০টি। দুই বছর আগের প্রথম প্রান্তিকে খাতটিতে কর্ম খালি ছিল এর দ্বিগুনেরও বেশি। অন্যদিকে মে মাসে বাড়ি বিক্রি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে কমেছে প্রায় ৯ শতাংশ। মৌসুমি সমন্বয় ব্যতিরেকে বাড়ির গড় দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১১ হাজার ডলারে।
সিএমএইচসি বলছে, প্রত্যেকের জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে ডেভেলপারদের আরও বেশি উৎপাদনশীল হতে হবে। সেই সঙ্গে অধিক সংখ্যক ইউনিট নির্মাণে জমির সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে।