
সংশ্লিষ্ট কাজ সম্পর্কে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা না থাকলেও কর্মী হিসেবে তাদেরকে নিয়োগ দিতে চায় কানাডিয়ান নিয়োগদাতারা। শ্রমবাজারে কর্মী সংকটের কারণেই এ পদক্ষেপ বলে নতুন এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, নিয়োগের ক্ষেত্রে এক সময় অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারণে এগুলো তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
গত মে মাসে কানাডাজুড়ে এক হাজার নিয়োগদাতার ওপর পরিচালিত অনলাইন সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেেছ। সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, ৭৭ শতাংশ কানাডিয়ান নিয়োগদাতা আন্তঃব্যক্তি দক্ষতা ও শেখার প্রতি আগ্রহকে কাজ-সংক্রান্ত জ্ঞান ও উচ্চ দক্ষতার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। চাকরি সংক্রান্ত কোনো ডিগ্রি বা সনদ নেই এমন প্রার্থীদের নিয়োগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রতি পাঁচজন নিয়োগদাতার মধ্যে চারজন। বরং নতুন কর্মীদের প্রশিক্ষণের ওপর বেশি গুরুত্ব দিতে চান তারা।
কর্মী খুঁজে পেতে ঝক্কির কারণে সংশ্লিষ্ট কাজে অভিজ্ঞতার শর্তও বিসর্জন দিতে আগ্রহী নিয়োগদাতারা। ইনডিডের পরিচালক মিশেল স্লেটার বলেন, আমরা স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে আটোসাটো শ্রমবাজার মোকাবেলা করছি। এখানে অবশ্যই শ্রমিক সংকট রয়েছে।
স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মে মাসে কানাডায় বেকারত্বের হার ৫ দশমিক ১ শতাংশে নেমে এসেছে। ১৯৭৬ সালের পর এটাই বেকারত্বের সর্বনি¤œ হার।
শ্রমবাজারের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী মূলত মহামারি থেকে অর্থনীতির শক্তিশালী পুনরুদ্ধার এবং জনমিতির পরিবর্তন। স্লেটার বলেন, বয়স্ক জনগোষ্ঠী ও দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি দক্ষ কর্মীর সংকট তৈরি করেছে। নিয়োগদাতাদের তাই অনেক বেশি উদ্ভাবনী হতে হচ্ছে।
শ্রমিক সংকট পুষিয়ে নিতে নিয়োগদাতারা আলাদাভাবে কি করছেন সেটি বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে সমীক্ষায়। তাদে দেখা গেছে, নিয়োগদাতারা যোগযোগ দক্ষতা, মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা ও প্রার্থী কতটা মনোযোগী তার ভিত্তিতে নিয়োগদানে আগ্রহী। কারিগরী জ্ঞান বা প্রশিক্ষণকে সেভাবে বিবেচনায় নিচ্ছেন না তারা।
স্লেটার বলেন, সমীক্ষার ফলাফল স্কুল থেকে বের হওয়া তরুণ বা যারা চাকরি শুরু করতে যাচ্ছেন তাদের জন্যই কেবন নয়, যেসব বয়স্ক কর্মী চাকরি পরিবর্তন করতে চান তাদের জন্যও ইতিবাচক। এর অর্থ হচ্ছে পুরোপুরি দক্ষতা না থাকার পরও ব্যক্তির সামনে তার স্বপ্নের চাকরিটা পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।