
জাতিসংঘ মিশনে অংশ নেওয়া কানাডিয়ান একটি উড়োজাহাজের ব্যাপারে চীনের পাইলটদের কর্মকান্ডকে অবিবেচনাপ্রসূত ও উস্কানিমূলক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ওই ঘটনার নিন্দা জানান।
উত্তর কোরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর বহুজাতিক জাতিসংঘ মিশনে অংশ নিচ্ছিল কানাডিয়ান উড়োজাহাজটি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, চীনের পদক্ষেপ দায়িত্বজ্ঞানহীন ও উস্কানিমূলক। জাতিসংঘের সিদ্ধান্তকে সম্মান না দেখিয়ে তারা জনগণের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছে।
কানাডার সশস্ত্র বাহিনী গত সপ্তাহে চীনে উড়োজাহাজের বিরুদ্ধে একাধিকবার আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নিয়ম-কানুন না মানার অভিযোগ আনে। সেই সঙ্গে এক কানাডিয়ান ক্রুর জীবন হুমকিতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগও আনা হয়। সশস্ত্র বাহিনীল তরফ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীনের উড়োজাহাজ একটি দূরপাল্লার কানাডিয়ান টহল উড়োজাহাজকে তার পথ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এর ফলে সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়াতে ক্রুকে দ্রুত গতিপথ পরিবর্তন করতে হয়।
সাগরে জাহাজ থেকে জাহাজে জ¦ালানি স্থানান্তরের ওপর নজর রাখতে অন্যান্য দেশের সঙ্গে কানাডিয়ান উড়োজাহাজটিও ২৬ এপ্রিল থেকে ২৬ মে পর্যন্ত প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর মোতায়েন করা হয়। চীনা জাহাজ জ্বালানি তেল স্থানান্তরে অংশ নিয়ে থাকে বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানও এই নজরদারি কার্যক্রমে অংশ নেয়।
তবে চীন তার সামরিক পাইলটের কার্যক্রমের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে বলেছে, তারা সঠিক কাজই করেছে এবং আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করছে।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র উ কিয়ান বলেন, কানাডার উস্কানিমূলকম, অবন্ধুসূলভ ও অপেশাদারি কার্যক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে চীনকে দ্রুত, যৌক্তিক ও পেশাদার পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।
পররাষ্ট্র বিষয়ক কনজার্ভেটিভ মুখপাত্র মাইকেল চং বলেন, কানাডার উচিত চীনকে এটা বলা যে, চীনের কর্মকা- চিল অগ্রহণযোগ্য। একইসঙ্গে বিপজ্জনক ও হঠকারী।
, ২০০১ সালে মার্কিন নজরদারি উড়োজাহাজ ও চীনের বিমানবাহিনীল একটি উড়োজাহাজের মধ্যে সংঘর্ষে চীনের একজন পাইলট নিহত হন এবং মার্কিন ক্রুকে ১০ দিন আটকে রাখে চীন।