
কানাডায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্তদের ডেটা ট্র্যাকিংয়ের অভাবের কারণে সম্ভাব্য কোভিড-পরবর্তী অবস্থা যেমন ডায়াবেটিস ও ব্রেইন ফগ সম্পর্কে জানা দুরূহ হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এর ফলে কানাডার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও সমাজের ওপর কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব দীর্ঘায়িত হতে পারে। কিন্তু উপাত্তের অভাবে চ্যালেঞ্জটি মোকাবেলা করা কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে।
টরন্টোর হাম্বার রিভার হসপিটালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. কাশিফ পীরজাদা বলেন, উপাত্ত সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাড়িতে বসে কোভিড পরীক্ষা করা একটি বড় বাধা। এসব রোগীদের কাছ থেকে উপাত্ত সংগ্রহের ব্যবস্থা সে অর্থে নেই। যদিও কোভিড-১৯ এর কারণে ডায়াবেটিস, ব্রেইন ফগ অথবা অন্যান্য জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। আমাদের মোট জনসংখ্যার ৫ থেকে ১০ শতাংশ যদি কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে তাহলে আমাদের কর্মীবাহিনীর ক্ষেত্রে তা বিরাট ইস্যু হয়ে দাঁড়াবে।
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সারের এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডা. অক্ষয় জৈন বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে কানাডায় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ব্যাপক হারে বেড়ে যেতে পারে। তবে যতদূর জানি হেলথ কানাডা কোভিড-১৯ পরবর্তী প্রভাস সংক্রান্ত কোনো তথ্য সয়গ্রহ করছে না। মৃদু উপসর্গ দেখা দিলে মানুষজন অনেক সময় চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছে না, যা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলছে। আমার মনে হয়, স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা ও জনগণের উচিত কোভিড-১৯ এর তাৎক্ষণিক স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব সম্পর্কে জানা। আপনারা জানেন যে, মহামারি-পরবর্তী প্রভাব দীর্ঘদিন ধরে আমাদের মধ্যে থাকবে। সুতরাং আমাদের এ ব্যাপারে ধারণা থাকা দরকার এবং এর ফলে ডায়াবেটস বা অন্য কোনো জটিলতা দেখা দেয় কিনা সেদিকে নজর রাখতে হবে।
জৈন বলেন, কানাডার প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে ৯ শতাংশের ডায়াবেটি শনাক্ত হয়েছে। তবে প্রি-ডায়াবেটিস ও শনাক্তের বাইরে থাকা ব্যক্তিদের হিসাবে নিলে এ হার ৩০ শতাংশের কাছাকাছি দাঁড়াবে। সংখ্যাটা বেশ উচ্চ এবং কোভিডের কারণে তা আরও বাড়বে বলেই মনে হয়।