উর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতির মধ্যে পরিবারের জন্য খাবার জোগাড় করা কঠিন বা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রায় অর্ধেক কানাডিয়ান। কারণ, মূল্যস্ফীতির কারণে মুদি দোকানের খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে।
অ্যাঙ্গাস রিড ইনস্টিটিউট পরিচালিত নতুন এক সমীক্ষায় এমনটাই উঠে এসেছে। ১ হাজার ৯৯২ জন প্রাপ্ত বয়স্ক কানাডিয়ানের ওপর সমীক্ষাটি চালিয়েছে তারা। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৪৯ শতাংশ কানাডিয়ান বলেছেন, খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিবারের সদস্যদের খাওয়ানো তাদের জন্য কঠিন বা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। কানাডায় বার্ষিক মূল্যস্ফীতি মার্চে ৮ দশমিক ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, ৩০ বছরের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।
এর আগে ২০১৯ সালের এপ্রিলে অ্যাঙ্গাস রিড এ ধরনের সর্বশেষ সমীক্ষাটি চালায় তখন পরিবারের সদস্যদের জন্য খাবার জোগাড় করাকে কঠিন বলে মন্তব্য করেছিলেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া মাত্র ৩৬ শতাংশ কানাডিয়ান। কানাডিয়ানরা যে তাদের আর্থিক অবস্থা নিয়েও ক্রমেই নিরাশ হয়ে পড়ছেন সেটাও উঠে এসেছে অ্যাঙ্গাস রিডের সমীক্ষায়। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৩৬ শতাংশ বলেছেন, এক বছর আগের তুলনায় তাদের আর্থিক অবস্থা অনেক বেশি খারাপ। গত মাসে আর্থিক অবস্থার উন্নতির কথা জানিয়েছেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া মাত্র ২৪ শতাংশ কানাডিয়ান। জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি সত্ত্বেও আর্থিক অবস্থা একইরকম রয়েছে বলে জানিয়েছেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৩৯ শতাংশ কানাডিয়ান।
এখন থেকে আগামী এক বছরে আর্থিক অবস্থা আরও খারাপ হবে বলে যারা মনে করছেন তাদের হারও অবস্থার উন্নতি হবে বলে যারা মনে করছেন তাদের চেয়ে বেশি। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ২৪ শতাংশ কানাডিয়ান আগামী এক বছরে আর্থিক অবস্থা ভালো হবে বলে আশা করলেও খারাপ হওয়ার আশঙ্কায় আছেন ২৮ শতাংশ। আগামী এক বছরেও আর্থিক অবস্থা একই রকম থাকবে বলে মনে করেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৩৮ শতাংশ কানাডিয়ান।
এই অবস্থায় ব্যাংকের নীতি নির্ধারণী সুদের হার ১ শতাংশে রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন অ্যাঙ্গাস রিডের সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৪৫ শতাংশ কানাডিয়ান। তবে মূল্যস্ফীতি সামাল দিতে ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন ২৭ শতাংশ কানাডিয়ান। আর আবাসন ও বিনিয়োগ বাজারের সুরক্ষায় সুদের হার কম রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৩ শতাংশ কানাডিয়ান। তবে এ অবস্থায় সঠিক পদক্ষেপ কি হতে পারে সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন ১৫ শতাংশ কানাডিয়ান।